আম গাছের নিচে ওয়েটিং এরিয়া! বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বিমানবন্দর এটি

আম গাছের নিচে ওয়েটিং এরিয়া! বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বিমানবন্দর এটি

এক সময় কেউ বিদেশ থেকে ফিরলে লোকে হাঁ করে দেখত। বিশেষ করে প্লেনে চড়া ছিল বিশাল ব্যাপার। এখন সময় বদলেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারও এখন প্লেনে ঘোরেন।

এক সময় কেউ বিদেশ থেকে ফিরলে লোকে হাঁ করে দেখত। বিশেষ করে প্লেনে চড়া ছিল বিশাল ব্যাপার। এখন সময় বদলেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারও এখন প্লেনে ঘোরেন।

ইদানিং বিমানবন্দর আধুনিকীকরণের কাজ চলছে প্রায় সব দেশেই। বিদেশি পর্যটকরা চকচকে বিমানবন্দর দেখে মুগ্ধ হবেন, দেশের সুখ্যাতি করবেন সেটাই কাম্য। 

বিমানবন্দর বললেই মনে বিলাসবহুল জায়গার ছবি ভেসে ওঠে। চেক ইন করার পর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বিশ্রাম, আধুনিক সমস্ত সুযোগ সুবিধা। বিমানবন্দরের মধ্যেই রেস্তোরাঁ, স্পা, কী নেই! কিন্তু সব জায়গায় ছবিটা এক নয়। 

বিশ্বে এমনও বিমানবন্দর রয়েছে যাকে বিমানবন্দর বলে চিনিয়ে না দিলে চেনার উপায় নেই।

মিরর-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলম্বিয়ার আগুয়াচিকা শহরে রয়েছে হাকারাতিমা বিমানবন্দর। এটাই বিশ্বের সব থেকে ছোট বিমানবন্দর। দুটো ওয়েটিং এরিয়া। একটাতে যাত্রী চেক ইন করেন। অন্যটায় চেক আউট।

ট্রাভেল কলম্বিয়া নামের একটি হ্যান্ডেল থেকে এই বিমানবন্দরের ছবি পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একনজরে দেখলে বিমানবন্দর বলে বোঝার উপায় নেই। গাছের নিচে চেয়ার পাতা। সেটাই ওয়েটিং এরিয়া। রোদের মধ্যেই যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন।

ছবির ক্যাপশনে লেখা, লাগেজ চেক করার জন্য কোনও স্ক্যানার মেশিন নেই। সবটাই ম্যানুয়ালি হচ্ছে। আসল কথা হলো, এখানে স্ক্যানার মেশিন বসানোর জায়গাই নেই। যাত্রীরা বিমানবন্দরে এসে রোদের মধ্যেই অপেক্ষা করেন।

বিলাসবহুল ওয়েটিং রুম এখানে কল্পনা। বরং একটা বড় আম গাছ রয়েছে। তার নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চেয়ার পাতা। সেখানেই অপেক্ষা করেন পুরুষ ও নারী যাত্রীরা। 

ওই পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, মাত্র ৪৮ জন যাত্রীর ব্যবস্থা রয়েছে বিমানবন্দরে। ফলে গোটা এলাকাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। প্লেনগুলো ছোট, তবে সিটগুলো আরামদায়ক। এখান থেকে টিকিটও দেওয়া হয়। গন্তব্যে নেমে লাগেজ নেওয়ার সময় দেখাতে হয় সেই টিকিট।

এমএসএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *