‘আমার কান্নাকে ওরা নাটক, চোখের জলকে গ্লিসারিন ভাবলো’

‘আমার কান্নাকে ওরা নাটক, চোখের জলকে গ্লিসারিন ভাবলো’

পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কথা বলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন টলিউড অভিনেত্রী ও হুগলির সাংসদ রচনা ব্যানার্জি। সেখানে তাকে পরিপাটি অবস্থায় চোখে কাজল, আইব্রো ব্যবহার করতে দেখা যায়।

পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কথা বলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন টলিউড অভিনেত্রী ও হুগলির সাংসদ রচনা ব্যানার্জি। সেখানে তাকে পরিপাটি অবস্থায় চোখে কাজল, আইব্রো ব্যবহার করতে দেখা যায়।

ভিডিওতে চিকিৎসকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এই অভিনেত্রী। আর সে কারণেই কি না সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হতে হলো রচনাকে। 

ফেসবুকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে ভিডিও দিতেই ট্রলের বন্যা বয়ে গেছে। কেবল রচনাকে নিয়ে নয়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকেও কটাক্ষ করা হয়েছে ভুল ভঙ্গিমায় শঙ্খ বাজানোর জন্য। 

বিষয়গুলো নিয়ে আর চুপ থাকেননি রচনা। জানালেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণেই নাকি তাকে নিয়ে অযোচিত এসব সমালোচনা হচ্ছে। 

রচনা বলেন, ‘যেদিন থেকে আমার তৃণমূলে যাত্রা শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই আমাকে নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে। এতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি যে ভিডিওটি বানিয়েছিলাম সেটা মন থেকেই বানিয়েছিলাম। পোস্ট করেছিলাম। আমি একজন শিল্পী, আমার কান্নাকে ওরা নাটক ভাবল। চোখের জলকে গ্লিসারিন ভাবল। মানুষ কত ভাবেই না আরেকজন মানুষকে ট্রল করে। অনেকে তো ঋতুপর্ণার শঙ্খ বাজানোকেও ট্রোল করেছে।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এমন একটা ঘটনা ঘটল। এমন পরিস্থিতিতে সেটা নিয়ে একজন মানুষ আরেকজনকে কটাক্ষ করছে। যার সঙ্গে এমন ঘটেছে তার পরিবারের পাশে থাকা উচিত সবার। সেটা না করে আমার চোখে কাজল আছে কি না সেটা নিয়ে কথা বলছে মানুষ। ওদের কাছে এত সময় আছে, আমার নেই। আমি এর বিচার চাই। দোষীদের ফাঁসি চাই। আমি হুগলির সাংসদ হিসেবে পথে নেমেছি। অনেক মানুষই নেমেছেন। এটা দরকার ছিল।’

প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট টানা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করে ঘুমাতে গিয়ে ধর্ষিত হয়ে খুন হন আরজি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ, রাজ্য। এরপর ১৪ অগস্ট রাত দখল করে মেয়েরা। সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলন চলছে অপরাধীদের বিচারের দাবিতে।

এনএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *