সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। একই সঙ্গে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামিয়ে সংগঠনটিকে দ্রুত অকার্যকর ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। একই সঙ্গে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামিয়ে সংগঠনটিকে দ্রুত অকার্যকর ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
উমামা ফাতেমা বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। দেশে এলাকা ভিত্তিতে ছাত্রদের সহিংসতা প্রতিরোধ টিম, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ টিম, ঘুষ/দুর্নীতি প্রতিরোধ টিম তৈরি করে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্মাণের কাজ করে যেতে হবে। আমাদের পড়াশোনায় ফিরে যাওয়া ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়া দরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দ্রুত অকার্যকর ঘোষণা করতে হবে।
এই প্লাটফর্মকে রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিণত না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম। আমাদের নেতাদের মধ্যে ৬ জুলাইয়ের দিকেই এই প্ল্যাটফর্মকেন্দ্রিক একটা বোঝাপড়া তৈরি হয়ে যায়। সেটা ছিল, এই আন্দোলনের মঞ্চ থেকে পরবর্তীতে রাজনৈতিক সংগঠন হবে না। এই আন্দোলনের মঞ্চকে রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিণত করলে আমাদের গণঅভ্যুত্থান তার আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হবে। এটি রাজনৈতিক কাঠামোতে রূপ নিলে তা মানুষের আস্থা হারাবে।
তিনি বলেন, অনেক সুবিধাভোগী গোষ্ঠী ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ভাবখানা এমন যেন তারা একটা কিছু! ছাত্রজনতা একেকটা অবজেক্ট! নতুন স্বৈরাচার গজানোর আগেই ছাত্রজনতার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নয়তো এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক আমাদের আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তে গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষার হাতিয়ারে পরিণত হবে এবং দ্রুত মানুষের আস্থা হারাবে। আমাদের বুঝতে হবে, কোথায় আমাদের থামতে হবে।
কেএইচ/এমজে