আবু সাঈদের নামে মডেল মসজিদ ও মেডিকেল কলেজ চায় পরিবার

আবু সাঈদের নামে মডেল মসজিদ ও মেডিকেল কলেজ চায় পরিবার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের বড় দুই ভাই। তারা আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন স্থাপন করার দাবি জানান। একইসঙ্গে তাদের নিহত ভাইয়ের স্মরণে গ্রামে একটি মডেল মসজিদ ও একটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এজন্য তারা দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছে আলাদা আবেদন করেছেন। সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তাও চেয়েছেন আবু সাঈদের দুই ভাই।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের বড় দুই ভাই। তারা আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন স্থাপন করার দাবি জানান। একইসঙ্গে তাদের নিহত ভাইয়ের স্মরণে গ্রামে একটি মডেল মসজিদ ও একটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এজন্য তারা দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছে আলাদা আবেদন করেছেন। সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তাও চেয়েছেন আবু সাঈদের দুই ভাই।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সহায়তা চান আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন।

এসময় প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) তাদের গার্ড স্যালুট দেন। তখন প্রধান উপদেষ্টা তাদের সঙ্গে ছিলেন। সাক্ষাতে আবু সাঈদের ভাইয়েরা তাদের বাবা-মায়ের সালাম এবং শুভ কামনার বার্তা নিয়ে এসেছেন বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।

সাক্ষাৎকালে আবু সাঈদের দুই ভাই গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণে আবু সাঈদ এবং অন্য শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্বীকার করায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, জাতিসংঘের ভাষণে যখন আবু সাঈদের নাম আপনি বলছিলেন, বিপ্লবে তার বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরছিলেন তখন আমরা সম্মানিতবোধ করেছিলাম।

প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার একদিন পর রংপুরে তাদের গ্রামে দেখা করতে যাওয়ায় আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী ড. ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আরেক ভাই আবু হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যখন আমরা দাঁড়িয়েছিলাম এবং সৈন্যরা আমাদের গার্ড স্যালুট দিয়ে সম্মান জানান তখন আমাদের কেমন লেগেছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

বৈঠকে তারা আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করে বলেন, তারা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

আবু সাঈদের ভাইয়েরা বলেন, তারা তাদের নিহত ভাইয়ের নামে একটি ফাউন্ডেশন স্থাপন করবেন। এই ফাউন্ডেশন দরিদ্র এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কাজ করবে।

এসময় তারা জানান, তাদের নিহত ভাইয়ের স্মরণে গ্রামে একটি মডেল মসজিদ ও একটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করতে চান। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য তারা দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা আবু সাঈদের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে তার হত্যার তদন্ত দ্রুত করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, শহীদ আবু সাঈদ জাতির জন্য যা করেছেন তা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। তার আত্মত্যাগ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে বিরাট ভূমিকা রাখে।

প্রধান উপদেষ্টা আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। আমি সবসময় তোমাদের সঙ্গে থাকব। তিনি আবু সাঈদের দুই ভাইকে তাদের মা-বাবাকে তার সালাম জানাতে বলেন।

ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক একদিন পর গত ৯ আগস্ট রংপুরে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি শহীদ আবু সাঈদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করেন।

এনএম/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *