বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে বরিশালের জেলা প্রশাসন। নবাগত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন। তারই অংশ হিসেবে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নগরীর গোরাচাঁদ দাশ রোডের বাসিন্দা রাজধানীর বারিধারা এলাকায় নিহত আব্দুল্লাহ আল আবিরের বাসায় যান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে বরিশালের জেলা প্রশাসন। নবাগত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন। তারই অংশ হিসেবে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নগরীর গোরাচাঁদ দাশ রোডের বাসিন্দা রাজধানীর বারিধারা এলাকায় নিহত আব্দুল্লাহ আল আবিরের বাসায় যান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘরাই বলেন, স্যার (জেলা প্রশাসক) শহীদ আবিরের বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন। আবিরের বাবার শোকে আপ্লুত হয়ে পড়েন। স্যার আশ্বস্ত করেছেন জেলা প্রশাসন সবসময়ে তাদের পাশে থাকবে। আবিরের ত্যাগ রাষ্ট্র সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছে।
এসময়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
মনদীপ ঘরাই বলেন, ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রস্তুতে আমরা কাজ করা শুরু করেছি। বরিশাল জেলায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন শহীদের জন্য পেয়েছি। আরো তথ্য সংগ্রহে কাজ চলছে। পুরোপুরি তালিকা প্রস্তুত হলে তা প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাণ হারানো শহীদদের বাসায় যাওয়া হবে। আমরা তাদের পাশে রয়েছি।
উল্লেখ্য, গোড়াচাঁদ দাশ রোডের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল আবির ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হন। ২০ জুলাই সকালে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান তিনি। গোড়াচাঁদ দাশ রোডে আবিরের বাবার মামার বাড়ি। এখানেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন আবির। তাদের গ্রামের বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/জেডএস