জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, যার চলে যায় সে বুঝে হারানোর যন্ত্রণা কতটা নির্মম ও কষ্টের। তবে আমরা সব কষ্ট ভুলে যাব যদি একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারি। আন্দোলনে যোগ দেওয়া আমার ভাই-বোনদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য ছিল সেটি হলো- শোষণ, অন্যায়-অত্যাচার ও দুর্নীতিমুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার। তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, যার চলে যায় সে বুঝে হারানোর যন্ত্রণা কতটা নির্মম ও কষ্টের। তবে আমরা সব কষ্ট ভুলে যাব যদি একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারি। আন্দোলনে যোগ দেওয়া আমার ভাই-বোনদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য ছিল সেটি হলো- শোষণ, অন্যায়-অত্যাচার ও দুর্নীতিমুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার। তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্নিগ্ধ বলেন, সবাই বলতো আমার আর মুগ্ধের হাসি নাকি খুব সুন্দর। তবে ১৮ জুলাইয়ে পর আমি এখন হাসতে ভুলে গেছি। আমি এখন আর হাসতে পারি না। আমি এখন আর ঘুমাতে পারি না। প্রতি মুহূর্তে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের করুণ মৃত্যু আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন নিয়ে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের সহযোগিতা করার জন্য জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন নামে এই সংগঠন করা হয়েছে। আপনারা সবাই মিলে সহযোগিতা করলে এটি প্রসারিত হবে। আমরা নিহতদের পরিবার ও আহতদের খোঁজখবর রাখছি। স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তবে আমাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না এই স্বাধীনতার ইতিহাস। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। সেজন্য আমাদের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে আরও বেশি করে সহযোগিতা করতে হবে।
সুরক্ষা সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান ভুট্টোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমন্বয়ক সাদিক আল আরমান, সংগীত শিল্পী মশিউর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম, জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি জেনারেল ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, লাকসাম পৌরসভার আমির মু. জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী, সেক্রেটারি জেনারেল মু. শহীদ উল্লাহ, জামায়াত নেতা ও আইনজীবী মু. বদিউল আলম সুজন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে শহীদ কুমিল্লার লাকসাম পৌর এলাকার জিসানসহ সব শহীদের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
আরিফ আজগর/আরএআর