আন্দোলনে নিহত ১১ জনের বাড়িতে গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ

আন্দোলনে নিহত ১১ জনের বাড়িতে গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১১ জনের বাড়িতে গেছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় নিহতদের কবর জিয়ারত এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১১ জনের বাড়িতে গেছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় নিহতদের কবর জিয়ারত এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনে নিহত মোট ১১ জনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সমন্বয়ক হাসনাত।

এদিন সকাল ১০টার দিকে প্রথমে উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের নিহত কাদির হোসেন সোহাগের বাড়িতে যান তিনি। এরপর সেখানে সোহাগের মা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত।

পরে গত ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের চিটাগং রোডে পুলিশের গুলিতে নিহত ১০ বছরের শিশু মো. হোসাইনের গ্রামের বাড়ি উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বিকেলে দেবিদ্বার সদরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত সেচ্ছাসেবকদল নেতা রুবেল মিয়ার বাড়িতে যান তিনি। সেখানে নিহত রুবেলের নবজাতক সন্তানকে কোলে তুলে নেন। নিহত রুবেলের মা ও স্ত্রীকে সান্ত্বনা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে একে একে নিহতদের সবার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের খোঁজ নেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বারে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হাসান নাহিদ, মুক্তাদির জারিফ সিক্ত, শরীফ আল বান্না, সাজেদুল রাসেদ রাফসান, সিয়াম ইসলাম ও ডা. আল আমিন প্রমুখ। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার গোপলানগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার অনানুষ্ঠানিকভাবে দেবিদ্বার সফর করেন। শুক্রবার দিনব্যাপী দেবিদ্বারে কর্মসূচি রয়েছে তার।

আরিফ আজগর/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *