আন্তর্জাতিক কফি দিবস আজ

আন্তর্জাতিক কফি দিবস আজ

আজ ১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক কফি দিবস। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পান করা হয় কোটি কোটি কাপ কফি। দিনের শুরু হোক বা আড্ডা বা আলাপ আলোচনা, কফি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

আজ ১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক কফি দিবস। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পান করা হয় কোটি কোটি কাপ কফি। দিনের শুরু হোক বা আড্ডা বা আলাপ আলোচনা, কফি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক কফি সংস্থা (আইসিও) ২০১৪ সাল থেকে ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০১৫ সালে ইতালিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কফি দিবস উদযাপিত হয়। 

ব্রাজিলে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কফির উৎপাদন হলেও, কফি পানের দিক থেকে এগিয়ে ফিনল্যান্ডের মানুষ। 

পানীয় হিসাবে কফি রয়েছে বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কফির উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বেশ কিছু উপকারী উপাদানের জন্য কফি অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।

এছাড়াও কফি পানে রয়েছে আরও কিছু উপকারিতা।

১. শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে ক্যাফেইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরে ৩-১১ শতাংশ পর্যন্ত মেটাবলিক রেট বা বিপাকের ক্রিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করেক্যাফেইন।

২. কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরের ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে নিউরনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও শরীরের ক্লান্তি ভাব অনেকটা কমে যায়।

৩. কফি পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ একটি পানীয়। এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন প্রভৃতি।

৪. কিছু গবেষণা বলছে, কফি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ২৩-২৫ শতাংশ।

৫. নিয়মিত কফি পান হরমোন এপিনেফ্রিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে শারীরিক কর্মক্ষমতা, পেশি শক্তি এবং সামগ্রিক ধৈর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। ফলে বিষণ্নতা-উদ্বেগের বিরুদ্ধে লড়াই করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর কফি নিয়মিত পান করলে, শরীর বহু রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

৭. করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো জটিল সমস্যায় ও কফি উপকারী ভূমিকা রাখে। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতেও কফি সহযোগী। নিয়মিত এবং পরিমিত কফি পান করলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।

৮. ত্বকের যত্নে কফি ভালো স্ক্রাবের কাজ করে। রোদে পোড়া ত্বক ও অ্যান্টিরিংকেল দূর করতে কফির জুড়ি মেলা ভার।

৯. চুলের যত্নে সপ্তাহে অন্তত একদিন কফি পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি চুলে লাগালে অতিরিক্ত চুল পড়া কমে যায়। পাশাপাশি রুক্ষতা কমিয়ে চুলের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসে।

জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *