আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বললো হেফাজতে ইসলাম

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বললো হেফাজতে ইসলাম

জাতীয় দিবস হিসেবে ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিলকে স্বাগত জানিয়ে এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। 

জাতীয় দিবস হিসেবে ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিলকে স্বাগত জানিয়ে এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দেওয়া বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কথিত পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি আগে রাষ্ট্রীয় ভাষণে দেশবাসীর সামনে স্বীকার করলেও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অস্বীকার করে তিনি স্ববিরোধিতা এবং একইসাথে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিশ্বস্ত এই রাষ্ট্রপতিকে জুলাই বিপ্লবের শত্রু মনে করি এবং তার দ্রুত অপসারণ দাবি করছি। জুলাই বিপ্লবের চেতনার সাথে যারাই গাদ্দারি করবে, তারাই গণশত্রু হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হবে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্টদের বানানো জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিল করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পিতা একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেন। তার বানানো রক্ষীবাহিনী নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে লেলিয়ে দিয়ে হাজার হাজার আলেম ওলামা ও বিরোধী নেতাকর্মী হত্যা করেন এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালান। স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ভোট ডাকাতির নির্বাচনের নজির তৈরি করেন বাকশালী স্বৈরাচারী মুজিব। তার দলীয় লোকজনের সীমাহীন লুটপাটের ফলে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। সেই দুর্ভিক্ষে অনাহারে মারা যায় দেশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। 

তারা আরো বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জনক মুজিব ভিন্নমত দমনে চারটি পত্রিকা বাদে আর সব সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করেন। তার ফ্যাসিবাদী রাজত্বকে আরো নিরঙ্কুশ করতে তিনি সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল গঠন করেন। এভাবে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নের ঘাতকে পরিণত হন ফ্যাসিস্ট মুজিব। 

নেতৃদ্বয় বলেন, মুজিবের বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের শাসনকাল চেপে রাখা হয়েছিল তারই অনুগামী স্বৈরাচারী কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলে। পিতার কুকীর্তি ঢাকতে একদল চাটুকার প্রগতিশীল সম্পাদক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী লালনপালন করতেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। নিজের পিতাকে জাতির পিতা বলে চাপিয়ে দেন। পিলখানা ও শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে গত জুলাই-আগস্টেও একের পর এক গণহত্যা চালান। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তিনি অবশেষে ভারতে পালিয়ে যান। 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিডিআর হত্যা, ৫ মে শাপলা ও ২০২১ এবং ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসংঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোরাল আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের এখনো নিষিদ্ধ না করায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ একের পর এক প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে আরো সংহত করে সফল করতে হলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই।  

এআর/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *