দেশের অভ্যন্তরে আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ আইফোন ১৬’র বিক্রি ও বাজারজাতকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার গুগলের তৈরি স্মার্টফোন পিক্সেল বিক্রি ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও একই আদেশ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
দেশের অভ্যন্তরে আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ আইফোন ১৬’র বিক্রি ও বাজারজাতকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার গুগলের তৈরি স্মার্টফোন পিক্সেল বিক্রি ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও একই আদেশ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেব্রি হেন্দ্রি অ্যান্টনি আরিফ শুক্রবার রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, যে কারণে আইফোন ১৬ বিক্রি ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার, সেই একই কারণে গুগুলের স্মার্ট ফোনের বিক্রি ও বাজারজাতকরণেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত ইন্দোনেশিয়ার প্রচলিত আইন অনুযায়ী, বিদেশি কোনো কোম্পানি যদি তাদের পণ্য দেশটিতে বিক্রি করতে চায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেই পণ্যে প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অন্তত ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বা উপাদান কিনতে হয় ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে। আইফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের বিরুদ্ধে সেই আইন না মানার অভিযোগ ছিল, একই অভিযোগ উঠেছে গুগলের বিরুদ্ধেও।
“দেশের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য এই আইনটি করা হয়েছিল। গুগলের স্মার্টফোন উৎপাদনকারীরা সেই নিয়ম মানেননি। তাই দেশের ভেতর গুগলের পিক্সেল ফোন বিক্রি ও বাজারজাত করণ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,” সংবাদ সম্মেলনে বলেন অ্যান্টনি আরিফ।
ইন্দোনেয়িশয়ার ক্রেতারা অবশ্য অনলাইনে বা অন্যকোনোভাবে বিদেশ থেকে এই ফোন কিনতে পারবেন, তবে সেজন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় শুল্ক প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যান্টনি আরিফ।
গুগল অবশ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দাপ্তরিকভাবে এখনও ইন্দোনেশিয়ায় পিক্সেল ফোনের বাজারজাতকরণ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটির কিছু বেশি। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশই প্রযুক্তিপ্রেমী। যে কেনো নতুন গেজেট এলেই সেটির প্রতি আগ্রহী হন তারা। এ কারণে দেশটিতে ইলেকট্রনিক্স বা প্রযুক্তিগত পণ্যের বাজার বরাবরই চাঙ্গা। দেশটিতে বর্তমানে এমন শত শত কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিগত পণ্যের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ