আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিবাদে সরব রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা অঙ্গণও। শুক্রবার কলকাতার শ্যামবাজার মোড়ে প্রতিবাদে বসার কথা ছিল ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের। এদিন ঘটনাস্থল থেকেই আটক হন তিনি।
আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিবাদে সরব রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা অঙ্গণও। শুক্রবার কলকাতার শ্যামবাজার মোড়ে প্রতিবাদে বসার কথা ছিল ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের। এদিন ঘটনাস্থল থেকেই আটক হন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, ২ ঘণ্টার প্রতিকী অবস্থানে বসার আগেই রুদ্রনীলের দলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সেখানেই পৌঁছেছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ-সহ অন্যান্যরা।
এ সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন তারা। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে তাদের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ বাধে। এরপর আটক করা হয় রুদ্রনীল ঘোষকে।
এদিক পুলিশের প্রিজন ভ্যানে উঠেও ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভারতীয় জনতা পার্টির শ্যামবাজার থেকে মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। যেভাবে তারা মানুষের আন্দোলনকে, মা বোনেদের আন্দোলনকে আরজি করে দুষ্কৃতি ঢুকিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের ভয় নিজে পেয়ে গেছেন। বলছেন, এই বোনটার দাম নাকি ১০ লক্ষ টাকা।’
রুদ্রনীল আরও বলেন, ‘আজ ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে প্রতিবাদ করা হয়। আর আমরা কালচারাল সেলের তরফে প্রতিবাদে নেমেছিলাম। রাস্তা নাকি জ্যাম হচ্ছে, এই অজুহাতে আমাদের মারধর করে গ্রেপ্তার করা হল।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণের পর খুন করা হয় এক তরুণী চিকিৎসককে। ওই তরুণীর গলার একটি হাড় ভাঙা ছিল। তাই প্রাথমিক ধারণা, গলা টিপে হত্যা করা হয় তাকে। পরে শরীরে মোট দশ স্থানে ক্ষত পাওয়া যায়; পাওয়া যায় ভয়ঙ্কর কিছু আলামত। সে থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো পশ্চিমবঙ্গ। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকা মহলেও বইছে প্রতিবাদের ঝড়।
ডিএ