অভাবে বন্ধ চিকিৎসা, ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ নাঈম

অভাবে বন্ধ চিকিৎসা, ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ নাঈম

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুরা গ্রামের সোবহান সিকদারের ছেলে নাঈম হোসেন। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে লেখাপড়া বন্ধ করে কয়েক বছর আগে রাজধানীতে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ শুরু করেন তিনি। অসচ্ছল পরিবারের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে নাঈম। কিন্তু গত ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া গুলি লাগে নাঈমের শরীরে।

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুরা গ্রামের সোবহান সিকদারের ছেলে নাঈম হোসেন। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে লেখাপড়া বন্ধ করে কয়েক বছর আগে রাজধানীতে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ শুরু করেন তিনি। অসচ্ছল পরিবারের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে নাঈম। কিন্তু গত ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া গুলি লাগে নাঈমের শরীরে। 

পরিবারের একমাত্র ভরসার নাঈম এখন গুলিবিদ্ধে আহত হয়ে টাকার অভাবে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এ অবস্থায় বিত্তবানদের সহযোগিতা চায় পরিবার। 

আহত নাঈমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৫ বছর বয়সে পরিবারের হাল ধরতে রাজধানী ঢাকায় পাড়ি জমায় নাঈম। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। গত ৫ আগস্ট পুলিশের ছররা গুলিতে তার ডান পা ঝাজরা হয়ে যায়। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেখানে জায়গা না হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীরা তাকে রাজধানীর সুগন্ধা হাসপাতালে ভর্তি করে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। এ সময় ১৫০টি ছররা গুলি তার ডান পা থেকে বের করা হয়। আহতের দুই দিন পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অর্থাভাবে রাজধানীতে চিকিৎসা করাতে না পেরে তার স্বজনরা তাকে গত ৮ আগস্ট পিরোজপুরে ভান্ডারিয়া উপজেলার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) আবারও অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে নাঈম।

নাঈমের বড় ভাই ফিরোজ সিকদার বলেন, আমরা গরিব মানুষ, কাজ করে খেতে হয়। ঢাকায় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে পারি নাই। বাড়ি নিয়া আসছিলাম কিন্তু আবার বরিশালে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হইলো। তবে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারতেছি না। এতদিন ধার করে খরচ চালাইছি। এখন অনেক অসহায় হয়ে পড়েছি।

নাঈমের কাছে তার বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসা করাতে পারলে হয়ত ভালো হয়ে যাব। একটু সময় লাগবে। কিন্তু আমার পায়ে গুলি লাগায় কাজ করাটা আটকে যেতে পারে, তখন আমার কি হবে? আমার পরিবারের কী হবে? আমার পরিবারের জন্যই আমার চিন্তা হচ্ছে।

নাঈমের আত্মীয় গোলাম মোহাম্মদ বলেন, ডাক্তার বলেছে নাঈমের পায়ে এখনও অনেক ছররা গুলি রয়েছে। সব বের করতে না পারলে ডান পা অকেজো হয়ে যাবে। বর্তমানে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় নাঈমের চিকিৎসার ভার বহন করা তার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সরকারিভাবে বা সমাজের বিত্তবানরা যদি নাঈমকে কিছুটা সাহায্য করে তবে ওই পরিবারের উপকার হবে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। আহত ওই যুবকের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *