অধ্যক্ষ সন্দ্বীপকে আরও ১৩ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের

অধ্যক্ষ সন্দ্বীপকে আরও ১৩ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের

পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার অধ্যক্ষ সন্দ্বীপ ঘোষকে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার অধ্যক্ষ সন্দ্বীপ ঘোষকে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন।

২০২১ সালে আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সন্দ্বীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতি, হাসপাতালের ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী গোপনে বাইরে পাচার, আর্থিক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

এসব দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৩ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট ডা. আখতার আলীকে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে সন্দ্বীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।

গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর গত ১৫ অগস্ট তাকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই। ১৬ অগস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সন্দীপকে।

নারী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে আর জি কর অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে আবাসিক চিকিৎসক থেকে শিক্ষার্থী, সবারই অন্যতম দাবি ছিল সন্দীপের অপসারণ কিংবা পদত্যাগ। আন্দোলনের চাপে পড়ে গত ১২ অগস্ট পদত্যাগ করেন সন্দীপ। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমাও দেন।

কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দীপকে কলকাতার অন্য একটি সরকারি হাসপাতালে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করে স্বাস্থ্য দপ্তর। সেখান থেকেও তার অপসারণের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। এর মাঝেই কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় সন্দীপকে ছুটিতে যেতে। পরে আন্দোলনের চাপে তাকে সেই পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।

গত ২ আগস্ট কলকাতর সল্টলেক এলাকা থেকে সন্দ্বীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তারপর থেকে এতদিন পুলিশি হেফাজতেই ছিলেন তিনি।

সূত্র : এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *