৫৭৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করল দক্ষিণ আফ্রিকা

৫৭৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করল দক্ষিণ আফ্রিকা

মিরপুরের উইকেটে বোলাররা কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন। তবে চট্টগ্রামে দাপট দেখালেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন তিন ব্যাটার। বাংলাদেশি বোলারদের ভুগিয়ে রীতিমতো রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

মিরপুরের উইকেটে বোলাররা কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন। তবে চট্টগ্রামে দাপট দেখালেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন তিন ব্যাটার। বাংলাদেশি বোলারদের ভুগিয়ে রীতিমতো রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৭৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৭ রান করেছেন টনি ডি জর্জি। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ও উইয়েন মুল্ডার। বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।

২ উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শুরু করেন টনি ডি জর্জি। সেটাকে দেড়শতে নিয়ে যেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি প্রোটিয়া ওপেনারের। দিনের ৮ ওভার শেষ হতেই পেয়ে যান দেড়শ রানের দেখা। তাইজুল ইসলামকে চার মেরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ড্যাডি সেঞ্চুরি।

দ্বিতীয় ওভারে হাসানের বলে বেডিংহামকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন তিনি। এরপর স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনও ছিল তার বিপক্ষে। সেখানেও বেঁচে গিয়েছেন তিনি। দিনের প্রথম ৯ ওভার শেষে উঠেছে ৩৫ রান। ডি জর্জির দেড়শ রানের পর ফিফটি তুলে নেন বেডিংহাম। অবশ্য চারশর ঠিক আগেই তাইজুলের স্পিন বাংলাদেশ শিবিরে এনে দেয় আনন্দের উপলক্ষ্য।

৩৮৬ রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উইকেট হারিয়েছিল ২টি। সেখান থেকে স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান তুলতে প্রোটিয়ারা ৩ উইকেট হারায়। ৩টি উইকেটই নিয়েছেন তাইজুল। তাইজুলের ওভারে পরপর বিগ শট খেলতে গিয়ে আউট হন বেডিংহাম। বাংলাদেশি স্পিনারের জোরের ওপর করা বল মিস করেছেন বেডিংহাম, হয়েছেন বোল্ড।

এক ওভার পরেই ১৭৭ রান করা টনি ডি জর্জিকে ফেরান এই স্পিনার।  সুইপ করতে গিয়ে আউট হন ডি জর্জি। তাইজুলের করা মিডল–লেগ স্টাম্প বরাবর করা বলটি প্যাডে লাগে এই ওপেনারের। আম্পায়ারও আবেদনে সাড়া দেন। ডি জর্জি রিভিউ নিয়েছিলেন। কাজে লাগেনি। এরপরেই গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কাইল ভেরেইনাকে একইভাবে ফেরান তাইজুল। এই উইকেট নিয়ে তাইজুল পান ক্যারিয়ারের ১৪তম ফাইফার। চট্টগ্রামের মাঠে পূরণ করেন নিজের ৫০ উইকেটের মাইলফলকও।

এরপর রায়ান রিকেলটনকে দ্রুত ফেরেন নাহিদ রানা। তাতে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন মুল্ডার ও মুতুসামি। দুজনে অবিচ্ছিন থেকে যোগ করেন ১৫২ রান। মুতুসামি অপরাজিত থাকেন ৬৮ রান করে। আর মুল্ডার সেঞ্চুরি করার পর পরই ইনিংস ঘোষণা করেন এইডেন মার্করাম।

এইচজেএস 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *