বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। টাইগ্রেসরা সবশেষ ২০১৪ সালে জয়ের দেখা পেয়েছিল। এরপর ১০ বছরে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে কোনো জয়ের মুখ দেখেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এবার সেই ধারা বদলাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রত্যাশা ও লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। টাইগ্রেসরা সবশেষ ২০১৪ সালে জয়ের দেখা পেয়েছিল। এরপর ১০ বছরে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে কোনো জয়ের মুখ দেখেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এবার সেই ধারা বদলাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রত্যাশা ও লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন।
জ্যোতি বলেন, ‘যে পরিসংখ্যানের (জয়খরা) কথা বললেন, আমার মাথায় এটা সবসময় থাকে যে, আমি নিজেও চারটি বিশ্বকাপ খেলেছি, এখনও পর্যন্ত একটা ম্যাচ জিততে পারিনি। অবশ্যই এবার বিশ্বকাপে আমার ব্যক্তিগতভাবে যেমন লক্ষ্য, গোটা দলেরও তেমনই লক্ষ্য যেন আমরা একটা ম্যাচ জিতে শুরু করতে পারি।’
দলের ক্ষুধা নিয়ে জ্যোতির ভাষ্যে, ‘স্কটল্যান্ডের কথা বললেন, তারা এখন নিয়মিতই ভালো ক্রিকেট খেলছে। বিশ্বকাপের মতো জায়গায় সব দলই ভালো ক্রিকেট খেলার প্রত্যাশা নিয়ে আসে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, লম্বা সময় ধরে আমাদের সবার যে ক্ষুধা, বিশ্বকাপে একটি জয়, সেটা যেন পেতে পারি। সেই লক্ষ্যই থাকবে। প্রথম ম্যাচ জিততে চাই, এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার জন্য ও গোটা দলের জন্য বড় একটি অর্জন হবে তা।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জ্যোতি শততম ম্যাচের মাইলফলক পূর্ণ করবেন বিশ্বকাপের প্রথম লড়াইয়ে। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম কারও এমন কীর্তির ম্যাচ নিয়ে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে ১০০তম ম্যাচ, অবশ্যই বড় ব্যাপার। যদিও জানি না এখনও, খেলতে পারব কি না, যদি সুস্থ থাকি ও খেলি, তাহলে লক্ষ্য তো এটাই থাকবে, এটা যেন স্পেশাল হয়ে থাকে, স্মরণীয় হয়ে থাকে সবার জন্য।’
শুরুতে প্রথম ম্যাচ জয়ে চোখ জ্যোতির। এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক সেমিফাইনালে খেলারও স্বপ্ন দেখছেন, ‘২০১৪ সাল ছাড়া বিশ্বকাপে আমরা আর কখনও কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। ভালো ক্রিকেট খেলেছি, কিন্তু জিততে না পারলে সেই ভালোর কোনো মানে নেই। প্রথম তাই লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ জেতা। দ্বিতীয়ত, যখন আমরা ফ্লো পাব, সেটিকে সঙ্গী করে সেমিফাইনাল কে না খেলতে চায়! আমাদেরও লক্ষ্য থাকবে তেমন কিছু করা।’
৩ অক্টোবর শুরু হয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। যেখানে ভালো করতে পারলে পরবর্তী প্রজন্মও খেলতে আরও উৎসাহী হবে বলে বিশ্বাস জ্যোতির, ‘আমরা জানি যে, আমাদের ক্রিকেট যদি এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে বিশ্বকাপের চেয়ে বড় জায়গা আর হতে পারে না। ওখানে ভালো করলে, শুধু আমরা নই, বাকি যে মেয়েরা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে চায় বা স্বপ্ন দেখে যে, বাংলাদেশের হয়ে বড় কিছু করবে, তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই।’
দুবাই এবং শারজাহর দুই স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের ২৩টি ম্যাচ। শারজাহে আগে খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে সেই পিচ ও মাঠ নিয়ে অভিজ্ঞতা নেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশ অধিনায়কের, ‘২০২২ সালে আমরা খেলেছি আবুধাবিতে। সেখানে উইকেট অনেক সুন্দর ছিল। এবার শারজাহ আমাদের জন্য পুরো নতুন ভেন্যু। তবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আমরা খেলব, সেখান থেকে কম-বেশি কিছু ধারণা পাব। শুধু আমাদেরই যে সমস্যা হবে, তা কিন্তু হয়। প্রতিটি দলেরই একই চ্যালেঞ্জ থাকবে। আমরা যত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব, তত আমাদের জন্য সুবিধা হবে বড় মঞ্চে মূল ম্যাচগুলি খেলার জন্য।’
এসএইচ/এএইচএস