৩ মাসেও প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আটক হয়নি কোনো আসামি

৩ মাসেও প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আটক হয়নি কোনো আসামি

যশোরের ঝিকরগাছায় স্পেন প্রবাসী আলতাফ হোসেনের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৫০) হত্যার তিনমাস অতিবাহিত হলেও আটক হয়নি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোনো আসামি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘাতক আসামিদের আটকে ও পুলিশি তদন্তে অনীহা রয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

যশোরের ঝিকরগাছায় স্পেন প্রবাসী আলতাফ হোসেনের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৫০) হত্যার তিনমাস অতিবাহিত হলেও আটক হয়নি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোনো আসামি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘাতক আসামিদের আটকে ও পুলিশি তদন্তে অনীহা রয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

গত ১৩ জুলাই দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার নওয়ালী গ্রামে জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাতে ফেরদৌসী বেগমকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৪ জুলাই অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই গাওছুল আযম। পরবর্তী সময়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর ঝিকরগাছা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের আরেক ভাই হাফিজুর রহমান। 

মামলায় আসামি করা হয়, নিহতের বেয়াইন একই থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের সুরাইয়া ইয়াসমিন, লিজা ইসলাম, ছেলের বউ সাদিয়া ইসলাম ও বেয়াই শরিফুল ইসলামকে। 

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, ৬ মাস আগে নিহতের বড় ছেলে আহসান কবির হৃদয়ের সাথে ২ নম্বর আসামি সাদিয়া ইসলাম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের এক সপ্তাহ পর হৃদয় স্পেনে ফিরে যান। কিছুদিন পর অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিহত ফেরদৌসী বেগমকে মোবাইল ফোনে জানান তার ছেলের বউয়ের সাথে ওই ব্যক্তির দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এসংক্রান্ত কিছু অশ্লীল ছবিও প্রমাণ হিসেবে পাঠান অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি। বিষয়টি আসামিরা জেনে গেলে ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন মামলার বাদি হাফিজুর রহমান।

হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকেই ছেলের বউকে নিয়ে সংসারে অশান্তি চলছিল। বিষয়টি মেয়ের বাবা মাকে জানালে তারা কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং নানা হুমকি দিতে থাকেন। এমনকি নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোরও হুমকিও দেন মামলার প্রধান আসামি সুরাইয়া ইয়াসমিন (মেয়ের মা)।

হাফিজুর রহমান বলেন, মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক ধামাচাপা দিতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হয়েছে বোন ফেরদৌসী বেগমকে। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির দাবী জানান তিনি। 

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিকরগাছা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইব্রাহীম আলী বলেন, হত্যার পর থেকেই রহস্য উদঘাটনের জন্য নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। 

আদালতে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইব্রাহীম আলী বলেন, আদালতে একটি মামলা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। আদালত মামলা গ্রহণ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ্যান্টনি দাস অপু/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *