দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ আম্পায়ার আলিম দার। পাকিস্তানে চলমান ঘরোয়া টুর্নামেন্টের মৌসুম শেষেই তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন। এর আগে ৫৬ বছর বয়সী এই পাক আম্পায়ারকে ২০২৩ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক প্যানেল থেকে সরিয়ে নেয় আইসিসি, যদিও এরপর ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ ছিল তার।
দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ আম্পায়ার আলিম দার। পাকিস্তানে চলমান ঘরোয়া টুর্নামেন্টের মৌসুম শেষেই তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন। এর আগে ৫৬ বছর বয়সী এই পাক আম্পায়ারকে ২০২৩ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক প্যানেল থেকে সরিয়ে নেয় আইসিসি, যদিও এরপর ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ ছিল তার।
সর্বশেষ এপ্রিলেও পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছিলেন আলিম দার। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে ওই মাসেই নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। এরপর মে মাসে রয়েছে পিএসএল আসর। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট দিয়ে জাকজমকপূর্ণ বিদায় পেতে পারেন আলিম দার।
বিশ্ব ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছেন পাকিস্তানের এই আম্পায়ার। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার ‘ডেভিড শেফার্ড’ ট্রফি পেয়েছেন আলিম দার। ২০০২ সালে আইসিসির এলিট প্যানেল প্রতিষ্ঠার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে সেখানে জায়গা করে নেন। এরপর চারটি বিশ্বকাপসহ রেকর্ডগড়া ১৪৫ টেস্ট ও ২২২টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে পরিচালনা করেছেন দার।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালক জানান, ‘প্রায় ২৫ বছর আম্পায়ারিং ছিল আমার জীবনের অংশ। প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটারদের কিছু দুর্দান্ত ম্যাচ পরিচালনার আকাঙ্ক্ষা আমার সবসময়ই ছিল। পুরো ক্যারিয়ারে আমি ম্যাচ পরিচালনায় পুরো পেশাদারিত্ব ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি এবং বিশ্বের সবচেয়ে সেরা কিছু ম্যাচ অফিসিয়ালের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি।’
এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন শেষে নিজের নামে ‘আলিম দার ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। যার মাধ্যমে রক্তদাতা প্রতিষ্ঠান ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সেবায় বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হবে। এ নিয়ে দার বলেন, ‘সব সেরা সময়ের শেষ সীমা রয়েছে। আমিও সেই সময়ে পৌঁছালে সামাজিক ও দাতব্য কাজে মনোযোগী হতে চাই। আমার হাসপাতাল প্রজেক্ট এবং অন্যান্য প্রচেষ্টা পূরণের কাছাকাছি রয়েছে, যার জন্য হৃদয় দিয়ে প্রয়োজনীয় সব ত্যাগ করতে রাজি আছি।’
আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে আলিম দার ১৭টি প্রথম শ্রেণি এবং ১৮টি লিস্ট এ শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৮৬-১৯৯৮ পর্যন্ত সময়কালে তিনি ছিলেন লেগস্পিনারের ভূমিকায়। পরে ১৯৯৮-৯৯ কায়েদে আজম ট্রফিতে আম্পারিংয়ে অভিষেক হয় আলিম দারের। ম্যাচ পরিচালনার ক্যারিয়ার শেষে তিনি পরবর্তী প্রজন্মের ম্যাচ অফিসিয়ালদের পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।
এএইচএস