ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গত আসরে ‘মিনি-নিলাম’ হলেও, কার্যত ব্যক্তিগত মূল্যের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় সেটি। ফলে এবারের মেগা নিলাম যে আরও বড় ধামাকা নিয়ে আসছে সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গত আসরে ‘মিনি-নিলাম’ হলেও, কার্যত ব্যক্তিগত মূল্যের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় সেটি। ফলে এবারের মেগা নিলাম যে আরও বড় ধামাকা নিয়ে আসছে সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০২৪ আইপিএলে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে মিচেল স্টার্ককে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর এবার নিলামের আগেই রিটেনশনে থাকা হেইনরিখ ক্লাসেন ২৩ কোটি রুপি পাচ্ছেন। আগের আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে তাণ্ডব চালানোর পুরস্কারই পেলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান হিটার। টাকার অঙ্কে ছাড়িয়ে গেলেন বিরাট কোহলিকেও।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ছিল ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির রিটেনশন (খেলোয়াড় ধরে রাখা) তালিকা প্রকাশের শেষ সময়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ক্লাসেনকে বেশ চড়া মূল্যেই ধরে রাখল। যদিও নির্দেশিকা অনুযায়ী তাকে ১৮ কোটি রুপি দিয়েও রাখা যেত। ক্লাসেনকে যে বাড়তি মূল্যেই রাখা হচ্ছে, তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
অন্যদিকে কোহলিও যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে থাকবেন, তা নিয়ে সংশয়ের কোনো জায়গা ছিল না। তাকে ধরা রাখা হচ্ছে ২১ কোটি রুপিতে। অর্থাৎ রিটেনশনের তালিকা অনুযায়ী ক্লাসেন তার থেকেও বেশি পাচ্ছেন।
পুরনো প্রশ্নটা আবারও উঠছে ভারতীয় মিডিয়ায়। বেশ কয়েক বছর থেকেই আইপিএলের বাজারে সবচেয়ে বেশি দর উঠছে বিদেশিদের। যা নিয়ে বহু আগে থেকেই সমালোচনা করছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররাও।
এদিকে, হেইনরিখ ছাড়াও আগের আসরের ৫ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে হায়দরাবাদ। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সসহ বাকিরা হচ্ছেন— অভিষেক শর্মা, হেইনরিখ ক্লাসেন, নীতিশ কুমার রেড্ডি ও ট্র্যাভিস হেড। দলটির রিটেনশনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ কোটি রুপি দেওয়া হচ্ছে কামিন্সকে, যদিও গত আসরে তার দাম ছিল ২০.৫০ কোটি। এ ছাড়া অভিষেক ও হেড ১৪ কোটি এবং নীতিশের মূল্য ৪ কোটি রুপি।
অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আসন্ন আসরের জন্য নিলামের আগে বিরাট কোহলি ছাড়াও তিন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। বাকি দুই রিটেনশন রজত পাতিদার (১১ কোটি) ও যশ দয়াল (৫ কোটি)।
এফআই