২০০০ সালে শিল্পী অধুনা ভবানীকে বিয়ে করেন অভিনেতা ফারহান আখতার। দীর্ঘ ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল তাদের। সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০১৭ সালে। ওই বছরই বিচ্ছেদ হয় এই জুটির।
২০০০ সালে শিল্পী অধুনা ভবানীকে বিয়ে করেন অভিনেতা ফারহান আখতার। দীর্ঘ ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল তাদের। সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০১৭ সালে। ওই বছরই বিচ্ছেদ হয় এই জুটির।
এরপর ২০২২ সালে শিবানী দান্ডেকরকে বিয়ে করেন ফারহান। অভিনেতার বাবা কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতারের জীবনেও বিবাহ বিচ্ছেদের ইতিহাস রয়েছে। ফারহানের মা, অভিনেত্রী হানি ইরানির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জাভেদ বিয়ে করেন শাবানা আজমিকে।
একটা সময় বাবার ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন ফারহান। একই ভাবে ফারহান-অধুনার বিচ্ছেদের প্রভাব পড়েছিল তাদের দুই মেয়ের উপর। যে কারণে প্রশ্ন উঠেছে, সৎ মা শিবানীর উপর কী রেগে ছিলেন ফারহানের দুই মেয়ে!
যদিও সতীন অধুনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ফারহানের দ্বিতীয় স্ত্রী শিবানী। স্বামীর প্রথম স্ত্রীর প্রশংসাই শোনা গেল তার কণ্ঠে।
দীর্ঘ তিন বছর সম্পর্কে থাকার পর ফারহানের সঙ্গে ঘর বাঁধেন শিবানী। যে কোনও অনুষ্ঠানের স্বামীর গোটা পরিবারের সঙ্গে আনন্দে উৎসবে শামিল হন তিনি।
তবে ফারহানের প্রাক্তন স্ত্রীয়ের সঙ্গে বর্তমান স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন সেটা নিয়ে উৎসাহ অনেকেরই। স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রী মানেই মুখ দেখাদেখি বন্ধ, তেমন সম্পর্ক নয় দুজনের। বরং অধুনার প্রশংসাই যেন করলেন শিবানী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ফারহান ও অধুনা দু’জনের বাবা-মা হিসেবে খুব সফল। তাদের দুই মেয়ের মা হয়ে ওঠার কোনও চেষ্টাই আমি করিনা। কারণ, অধুনা খুব ভালো মা। আমরা গোটা পরিবার আছি দুই মেয়ের পাশে, যখনই ওদের প্রয়োজন হবে আমি রয়েছি।
প্রতিটি দাম্পত্যে বিভিন্ন বিষয়ে কলহ লেগেই থাকে। ব্যতিক্রমী নন ফারহান ও শিবানীও। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে কী করেন, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। শিবানীর কথায়, ‘কোনও বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলে আমরা মনোবিদের কাছে যাওয়ার অপেক্ষা করি। যদিও আমি চাই, তখনই বিষয়টাকে যেভাবে হোক নিজেরা কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া। কিন্তু, ফারহান বলেন, একটু অপেক্ষা করে যাও। পরের দিন মনোবিদের কাছে গিয়ে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব।’
এনএইচ