আগামী ১৩ অথবা ১৪ অক্টোবরের দিকে বিদায় নিতে পারে মৌসুমি বায়ু। এরপরই সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টিপাত কমার। তার আগ পর্যন্ত সারা দেশজুড়েই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ১৩ অথবা ১৪ অক্টোবরের দিকে বিদায় নিতে পারে মৌসুমি বায়ু। এরপরই সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টিপাত কমার। তার আগ পর্যন্ত সারা দেশজুড়েই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
একই সঙ্গে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবারও (১০ অক্টোবর)। ওইদিন ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ওইদিনও সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা বিভাগের কয়রায়। যার পরিমাণ ৩৬ মিলিমিটার। আর এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বরিশাল বিভাগে ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণায়। যার পরিমাণ ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরএইচটি/এমজে