‘১২ ঘণ্টায় লোডশেডিং ১৩ বার, অসুস্থ হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধ’

‘১২ ঘণ্টায় লোডশেডিং ১৩ বার, অসুস্থ হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধ’

নোয়াখালীতে গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সীমাহীন লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। শনিবারও (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীবাসী।

নোয়াখালীতে গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সীমাহীন লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। শনিবারও (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীবাসী।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা। অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে নষ্ট হচ্ছে বিদ্যুৎচালিত জিনিসপত্র ও কল কারখানার মেশিন।

এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং অনেকটা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে লোডশেডিং সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা বিদ্যুৎ বিভাগের।

খবর নিয়ে জানা গেছে, জেলার পৌর এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সে হিসাবে জেলায় পিডিবির গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার, যার জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩৪ মেগাওয়াট। দিনে-রাতে মিলে প্রায় ১২ ঘণ্টার বেশি হচ্ছে লোডশেডিং। প্রতি দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর হচ্ছে এক থেকে দেড় ঘণ্টার লোডশেডিং। একই অবস্থা পল্লী বিদ্যুতেরও, শহরমুখী এলাকাগুলোতে লোডশেডিং কিছুটা কম হলেও ভয়াবহ অবস্থা প্রত্যন্ত অঞ্চলের। যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পান না গ্রাহকরা।

জেলা শহরের গৃহিণী মাহমুদা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ শনিবার সারাদিনে অব্যাহত লোডশেডিং ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে ৩ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পেয়েছি ২০ মিনিট। এত অসহ্য গরম আর লোডশেডিং মিলে অতিষ্ঠ জনজীবন।

নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনিরুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভয়াবহ লোডশেডিং, যা বলে বুঝানো যাবে না। অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার নোয়াখালীবাসী। ১২ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ গেল ১৩ বার। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যাবে।

বেগমগঞ্জের বাসিন্দা তারিফুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। কিছু মানুষ বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে আবার কিছু মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। কিন্তু লোডশেডিং এত বেশি যা বলে বুঝানো যাবে না।  শিশু, বৃদ্ধ সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বিদ্যুৎ লুকোচুরি খেলে। আমরা মনে হয় ১২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যদি জেনারেটর ব্যবস্থা না থাকতো তাহলে দুর্ভোগের শেষ থাকতো না।

নোয়াখালী পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুল বাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের ৭৮ হাজার গ্রাহকের জন্য পাচ্ছি মাত্র ১৭ দশমিক ৫ মেগাওয়াট। যেখানে আমাদের চাহিদা রয়েছে ৩৪ মেগাওয়াট। তার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে হাসপাতাল। সেগুলো কাভার করে যা পারছি তা শিডিউল অনুযায়ী কাভার করছি। মূলত চাহিদার চেয়ে কম হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।

এদিকে মতামত জানতে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দেন। ফলে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *