রংপুরে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ ১১ বছর পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাইদী ও রাজিবুর রহমান পলাশসহ ৪১ জামায়াত-শিবির নেতাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক জুলকান নাহিম এ আদেশ দেন।
রংপুরে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ ১১ বছর পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাইদী ও রাজিবুর রহমান পলাশসহ ৪১ জামায়াত-শিবির নেতাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক জুলকান নাহিম এ আদেশ দেন।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে ২০০২ সালের দ্রুতবিচার আইনে ত্রাস সৃষ্টি করে পুলিশের রিকুইজেশন করা গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই সময় বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি চলছিল। মামলার পর বিচার কার্যক্রম শুরু হলে দীর্ঘ শুনানিতে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য ও জেরায় আসামিদের বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মঙ্গলবার বিচারক তাদের বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।
আদেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, রাজিবুর রহমান পলাশ, সাবেক কার্যকরী সদস্য ও বর্তমানে রংপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাওছার আলীসহ ৪১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের অপর আইনজীবী জয়নাল আবেদীন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ দুঃশাসন ও বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের কারণে মানুষের স্বাধীনতা ছিল না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ায় নিরাপরাধ আসামিরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এই রায়ের মধ্য দিয়ে সঠিক বিচার নিশ্চিত হয়েছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর