ইতিহাস গড়ে ভারতকে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। যা ৬৯ বছর পর ভারতের মাটিতে তাদের টেস্ট জয়। এমনকি এক যুগ পর কোনো রোহিত শর্মাদের তাদেরই মাটিতে সাদা পোশাকের সিরিজে হারাল। অথচ নিজেদের পছন্দের স্পিনবান্ধব উইকেট বানিয়েই বেঙ্গালুরু ও কানপুরে খেলতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু সেই ফাঁদে তারা নিজেরাই আটকে যায়। এবার তাদের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো, সে কারণে নাকি পিচে বদল আনা হচ্ছে!
ইতিহাস গড়ে ভারতকে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। যা ৬৯ বছর পর ভারতের মাটিতে তাদের টেস্ট জয়। এমনকি এক যুগ পর কোনো রোহিত শর্মাদের তাদেরই মাটিতে সাদা পোশাকের সিরিজে হারাল। অথচ নিজেদের পছন্দের স্পিনবান্ধব উইকেট বানিয়েই বেঙ্গালুরু ও কানপুরে খেলতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু সেই ফাঁদে তারা নিজেরাই আটকে যায়। এবার তাদের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো, সে কারণে নাকি পিচে বদল আনা হচ্ছে!
আগামী শুক্রবার (১ নভেম্বর) থেকে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। ইতোমধ্যে সিরিজ হেরে রোহিত-কোহলিদের সেই সমীকরণ এমনিতেই কঠিন হয়ে গেছে। শেষ টেস্ট ম্যাচটি হবে মুম্বাইয়ের ওয়ানখেড়ে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এবার আর স্পিন কন্ডিশন নয়, সেখানে স্পোর্টিং পিচ বেছে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— বেঙ্গালুরু টেস্টে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে কৌশল খাটিয়ে পুনে টেস্টে স্লো টার্নার উইকেট তৈরি করা হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল এই পিচে কিউই ব্যাটাররা স্পিন অস্ত্রেই কাবু হয়ে যাবে, তেমনটাই দেখা গিয়েছিল শুরুতে। তবে তাদের চেয়ে ভারতীয় ব্যাটাররাই নাস্তানাবুদ হয়েছেন মিচেল স্যান্টনার ও এজাজ প্যাটেলদের বোলিংয়ে। সে কারণে শেষ টেস্টের ভেন্যু মুম্বাইতে থাকছে স্পোর্টিং পিচ।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে একাই ধস নামিয়েছেন স্যান্টনার। বাঁ-হাতি এই স্পিনার প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে ৭ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানে ৬ উইকেট নেন। বিরাট কোহিল থেকে শুরু করে শুভমান গিল, সরফরাজ খান ও রোহিত শর্মাদের কেউই তাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি। তাই বিড়ম্বনা এড়াতে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না মুম্বাইয়ের কিউরেটররা। ফলে পরের ম্যাচে ফের তিন পেসারও দেখা যেতে পারে ভারতীয় দলে।
গত ম্যাচে হারের পর থেকে আলোচনা হচ্ছে– ভারতীয় দলে ভিভিএস লক্ষ্মণ, শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় কিংবা বীরেন্দর শেবাগদের মতো ভালো স্পিন মোকাবিলা করা দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটারের অভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে চেতেশ্বর পূজারা এবং অজিঙ্কার রাহানের মতো ব্যাটাররাও দলে নেই বলে অনেকে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। কোহলির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও এবার স্পিন খেলার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে অনেকটা ফুল–টস ঘরানার বলে বোল্ড হয়েছেন পুনেতে।
সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ম্যাচ শুরুর তিনদিন আগেই বিসিসিআইয়ের প্রধান পিচ কিউরেটর আশিস ভৌমিক এবং এলিট প্যানেলের পিচ কিউরেটর তাপস চট্টোপাধ্যায় দেখা করেছেন মুম্বাইয়ের ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর রমেশ মামুনকারের সঙ্গে। সূত্র জানিয়েছে, এই মূহূর্তে ওয়ানখেড়ের পিচে ঘাস রয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে তৃতীয় টেস্টে স্পোর্টিং উইকেটেরই ব্যবস্থা করা হবে।
এএইচএস