বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন, অন্যায়ের প্রতিবাদে মনে কষ্ট নিয়ে একটি গান বাঁধেন ‘আমি ফাইসা গেছি’ খ্যাত গায়ক হায়দার হোসেন। গত ১৮ জুলাই সেই গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন, অন্যায়ের প্রতিবাদে মনে কষ্ট নিয়ে একটি গান বাঁধেন ‘আমি ফাইসা গেছি’ খ্যাত গায়ক হায়দার হোসেন। গত ১৮ জুলাই সেই গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু এর আগেই শেখ হাসিনার সরকার দেশজুড়ে বন্ধ করে দেয় ইন্টারনেট। জারি করে কারফিউ। ফলে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্য সেই গানটি আর প্রকাশ করতে পারেননি এই গায়ক।
তবে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে এসেছে হায়দার হোসেনের সেই গানটি। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গানটি প্রকাশ করে এই গায়ক বলেছেন, ‘এই গানটি আমি লিখেছিলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য এবং ১৮ জুলাই আপলোড করার উদ্দেশ্যে; কিন্তু পোস্ট করার আগমুহূর্তে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের অনুরোধে গানটি আবার আপলোড করলাম।’
গানটির কথাগুলো এমন—‘আমি বলতে চাইনি/ তবু বলতে হয়/ আমি লিখতে চাইনি/ তবু লিখতে হয়/ এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল/ বিবেক কেমনে নির্বাক রয়….?’
এখন পর্যন্ত গানটি ৩৭ লাখ মানুষ দেখেছেন। এছাড়াও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেড় লাখ নেটিজেন। যারা সে সময়ে হাসিনার সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি হায়দার হোসেনের সাহসিকতার প্রশংসাও জানিয়েছেন।
পাশাপাশি ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর আরও একটি নতুন গান প্রকাশ করেছেন হায়দার হোসেন। এটির শিরোনাম ‘বিজয় উল্লাস’।
সেই গান প্রসঙ্গে হায়দার হোসেন বলেন, ‘অনেক জীবনের বিনিময়ে নতুন দেশ পেয়েছে ছাত্র-জনতা। শাসকের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনে আজ আমরা উচ্ছ্বসিত। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে দেশ নিয়ে যে উল্লাস, আনন্দ চলছে এই আনন্দকে ধরে রাখতে হবে। এই আনন্দকে ধরে রাখতে আমাদের অনেক কাজ এখনও বাকি। বিজয় উল্লাস গানে সে কথাই বলেছি।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছেন হায়দার হোসেন। এর মধ্যে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। সম্প্রতি এই গায়কের হৃদযন্ত্রে একটি করোনারি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। তবুও প্রতিনিয়ত নতুন গান লেখা চালিয়ে যাচ্ছেন এ শিল্পী।
এনএইচ