কুষ্টিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইউসুফ শেখ (৬৬) নামে একজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইউসুফ শেখ (৬৬) নামে একজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে নিহত ইউসুফ শেখের মেয়ে সীমা খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান।
গত ৫ আগাস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে নূর টেইলার্স গলির ভেতরে ইউসুফকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে চাকরি করতেন। ইউসুফ চর থানা পাড়ার শহীদ আবুল কাশেম সড়কের মৃত এদাত আলী শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিসহ মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০-৩০ জনকে।
নিহতের মেয়ে সীমা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমার বাবা ইউসুফ শেখ তার কর্মস্থল হইতে বাসায় ফেরার পথিমধ্যে কুষ্টিয়া শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনের নূর টেইলার্স গলির ভেতরে পৌঁছালে এজাহারনামীয় আসামিরা আমার বাবাকে দেখিয়া ধাওয়া করে। একপর্যায়ে এক নম্বর আসামি মাহবুবুল আলম হানিফ ও দুই নম্বর আসামি আতাউর রহমান আতার হুকুমে ১৭ নম্বর আসামি রুহুল আমিন মুরাদ, ২৫ নম্বর আসামি সুমন, ২৮ নম্বর আসামি গৌরব চাকী, ৫২ নম্বর আসামি হিরো এবং ৬৩ নম্বর আসামি সকো আলীর হাতে থাকে আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল দিয়ে আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। তাদের গুলির আঘাতে আমার বাবার কপালে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তার শরীরের লোহার রড, লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে সীমা বলেন, বাবা মারপিট ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ইউসুফ হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
রাজু আহমেদ/আরকে