ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে সরোয়ার জাহান মাসুদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) মো. ফরিদ ওরফে মানিকের দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে সরোয়ার জাহান মাসুদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) মো. ফরিদ ওরফে মানিকের দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শামসাদ বেগমের আদালত এ আদেশ দেন।
একই দিন এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার মোহাম্মদ মমতাজুল হকের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মো. এনামুল হকের দুই দিন এবং দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মেজুর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে গত ১২ আগস্ট আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে মানিককে আটকে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে আখাউড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। সেই সময় ফেনী মডেল থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর মহিপালে নিহত ওয়াকিল আহমেদ শিহাব হত্যা মামলায় তার প্রথম দফায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
একই ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর জেলার দাগনভূঞা এলাকা থেকে মেজবাহ উদ্দিন মেজু ও ১ সেপ্টেম্বর মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৬ আগস্ট মহিপালে নিহতদের মধ্যে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সরোয়ার জাহান মাসুদের মা বিবি কুলসুম বাদী হয়ে ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। নিহত মাসুদ দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর জয়লস্কর এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে।
তারেক চৌধুরী/আরএআর