আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু রাখা ও সুন্দরবন এবং বেনাপোল এক্সপ্রেসকে আগের রুটে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে ‘ঈশ্বরদীর আপামর ছাত্রজনতা’ ব্যানারে। এ দাবিতে গতকাল ঈশ্বরদী জংশনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভাও করা হয়েছে।
সাত দিনের মধ্যে চিত্রা এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী দিয়ে চালু করার দাবি কর্মসূচি থেকে বলা হয়, অন্যথায় ঈশ্বরদী জংশন ও বাইপাস স্টেশন থেকে পশ্চিমাঞ্চলের সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া বলে।
পথসভায় বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ কিরণ, বিএনপি নেতা এস এম ফজলুর রহমান, সচেতন নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক আ. ফ. ম. রাজিবুল ইসলাম ইভান, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল প্রমুখ।
আয়োজকরা বলেন, ঈশ্বরদী দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে জংশন স্টেশন। এ স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ৩৪টির বেশি ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। তবে ঢাকা যাওয়ার মাত্র তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন ছিল। গত বছর এই তিনটি ট্রেনের মধ্যে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেসের রুট পরিবর্তন করে অন্য রুটে চালানো হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের শত শত যাত্রী ঢাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। এ অবস্থায় চিত্রা এক্সপ্রেসও অন্য রুটে চালানোর পরিকল্পনা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ যদি আবারও এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে তাহলে আরও দুর্ভোগে পড়বে ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া, ভেড়ামারা, চাটমোহর, নাটোর জেলা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলের হাজার হাজার মানুষ।
পশ্চিম রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফারহান মাহমুদ মুঠোফোনে জানান, চিত্রা ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদের এখনও পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিক কোনো কিছু জানানো হয়নি।
রাকিব হাসনাত/এনএফ