সিনওয়ার নিহত হওয়ায় গাজায় শান্তি স্থাপন সহজ হবে : ট্রাম্প

সিনওয়ার নিহত হওয়ায় গাজায় শান্তি স্থাপন সহজ হবে : ট্রাম্প

গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ায় সেখানে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া সহজ হবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন তিনি।

গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ায় সেখানে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া সহজ হবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন তিনি।

মিশিগান অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিমিয়কালে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয় এটি (সিনওয়ারের নিহত হওয়া) গাজায় শান্তি স্থাপন প্রকিয়াকে আরও সহজ করবে। আর একটি কথা আমি বলতে চাই যে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু খুবই ভালো কাজ দেখাচ্ছেন, কিন্তু বাইডেন সবসময় তাকে বিরত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমার মতে, বাইডেনের উচিত এর উল্টোটা করা। বিবি (নেতানিয়াহুর ডাকনাম) যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করছেন এবং এতে আমি খুশি।”

বাইডেন আরও বলেন শিগগিরই নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে তার।

প্রসঙ্গত, বুধবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার তেল আল সুলতানে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহত হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর মাত্র দেড় মাস আগে হামাসের প্রধান নেতার পদে এসেছিলেন গোষ্ঠীটির গাজা শাখার প্রধান সিনওয়ার।

২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর ইসরায়েলে যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা, সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মনে করা হতো সিনওয়ারকে। তিনি যুক্তরাষ্টেরও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ১৯৬২ সালে গাজার খান ইউনিস শরণার্থী ক্যাম্পে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারের আদি বাসস্থান ছিল মাজদাল আসকালানে। পরবর্তীতে দখলদার ইসরায়েল যার নাম দেয় আসকেলন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের ভোটাভুটির মাধ্যমে ইসরায়েলের সৃষ্টি হওয়ার পর সিনওয়ারের পরিবারকে মাজদাল আসকালান ছেড়ে গাজার খান ইউনিসে চলে যেতে হয়। সেখানে শরণার্থী হিসেবে জীবন শুরু করেন তারা।

সিনওয়ার তার জীবনের ২২ বছর দখলদার ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ১৯৮৮ সালে দুই ইসরায়েলি সেনাকে জিম্মি এবং তাদের হত্যা করায় সিনওয়াকে আটক করা হয়েছিল। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পান তিনি।

সিনওয়ার যখন কারাগারে ছিলেন তখন ইসরায়েলি সরকার তাকে পর্যবেক্ষণ করে বলেছিল, তিনি ‘দয়ামায়াহীন’ এবং ‘শক্তিশালী’। ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকার সময় হিব্রু ভাষা আয়ত্ত করেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।

২০১৭ সালে হামাসের গাজা শাখার প্রধান হন তিনি। এরপর চলতি বছরের জুলাইয়ে ইসমাইল হানিয়া যখন গুপ্তহত্যার শিকার হন তখন তিনি হামাসের প্রধান নেতার দায়িত্ব পান।

 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *