সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের ১৬৮ নেতা-কর্মীর নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে।
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের ১৬৮ নেতা-কর্মীর নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে বিজয়নগর উপজেলার এস এম রাষ্টু নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
এ মামলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উবায়দুল মোকতাদিরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। এর আগে সদর থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মিয়া ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউসার মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুনির্মল সাহা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব হোসাইন, চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ এম শামিউল হক শামীম চৌধুরী, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন, পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুধ মিয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন্নেছা টুনি, হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূঞা, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা ওরফে দুলি, বুধন্তি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী সৈয়দুল ইসলাম, সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। নির্বাচনের কিছুদিন আগে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে নির্বাচনী প্রচারণাসহ স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল গাড়িবহর নিয়ে মির্জাপুরে উপজেলা পরিষদের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র ঘেরাও করে ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেন। এ সময় কেরোসিন ও পেট্রোল দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার শ্যামলের জিপসহ দুইটি গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরদিন থানায় মামলা করতে গেলে মোকতাদির চৌধুরীর অবৈধ হস্তক্ষেপে পুলিশ তা নেয়নি।
বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাফায়েত আহমেদ জানান, হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি হয়েছে।
মাজহারুল করিম অভি/এমজেইউ