সাবেক এমপি কিরণের নামে চাঁদাবাজি মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

সাবেক এমপি কিরণের নামে চাঁদাবাজি মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ইটভাটায় চাঁদাবাজি ও দখলের অভিযোগে নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণসহ ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ইটভাটায় চাঁদাবাজি ও দখলের অভিযোগে নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণসহ ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩ নং আমলী আদালতের বিচারক সোনিয়া আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

এর আগে সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছমির মুন্সীর হাট এলাকার লাউতলী গ্রামের মো. নুরুল হকের ছেলে মো. আবু ছুফিয়ান মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, বেগমগঞ্জের রসুলপুর ইউনিয়নের মৃত হাজী আবদুল সমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সবুজ (৩৩),  আমির হোসেন (৪৫), জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), রফিকপুর গ্রামের আমিন উল্যার ছেলে নুর হোসেন সেলিম (৪৮)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর মেসার্স দিগন্ত স্টার ব্রিক নামের ইটভাটায় সাবেক সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের নির্দেশে হামলা চালায় আসামিগণ। এসময় ক্যাশে থাকা ৫০ লাখ টাকা নিয়ে যায় তারা। তারপর চাঁদা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে বলে জানায় এবং বিভিন্ন সুকৌশলে দখলে নিয়ে নেয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর নিজের প্রতিষ্ঠান দখল মুক্ত করতে গেলে আসামিরা জোরপূর্বক বাদীকে বের করে দেয়। বাদী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড় করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন সাকি ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরে পেতে আবু ছুফিয়ান মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি সাবেক এমপিকিরণসহ ৫ জনকে আসামি করেছেন। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০/৬০ জনকে। 

নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, বদী আবু ছুফিয়ান  চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। তারপর বিজ্ঞ বিচারক সোনিয়া আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

হাসিব আল আমিন/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *