সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতের অধিকারীর জন্য যে নেয়ামত

সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতের অধিকারীর জন্য যে নেয়ামত

আল্লাহ তায়ালা তার বিশ্বাসী ও অনুগত বান্দাদের চিরস্থায়ী জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন, তাদের জন্য জান্নাত রয়েছে এর বিনিময়ে।’ (সূরা তওবা, আয়াত : ১১১)

আল্লাহ তায়ালা তার বিশ্বাসী ও অনুগত বান্দাদের চিরস্থায়ী জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন, তাদের জন্য জান্নাত রয়েছে এর বিনিময়ে।’ (সূরা তওবা, আয়াত : ১১১)

জান্নাতবাসীদের যেসব নেয়ামত দেওয়া হবে তা নিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। যখনই তাদেরকে জান্নাত থেকে কোন ফল খেতে দেয়া হবে, তারা বলবে, ‘এটাই তো পূর্বে আমাদেরকে খেতে দেয়া হয়েছিল’। আর তাদেরকে তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করে এবং তাদের জন্য তাতে থাকবে পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে হবে স্থায়ী। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫)

জান্নাতবাসী সম্পর্কে আরেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, পক্ষান্তরে যারা বিশ্বাস করেছে (মু’মিন হয়েছে) এবং সৎকাজ করেছে, তারাই হবে জান্নাতের অধিবাসী; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ৮২)

মানুষের আমলের ভিত্তিতে জান্নাতে তার স্তর নির্ধারিত হবে। আল্লাহর সবথেকে নৈকট্যশীল বান্দারা উঁচু স্তরের জান্নাতে থাকবেন, যাদের আমল কম তারা তুলনামূলক নিম্নস্তরের জান্নাতে থাকবেন। তবে সেই নিম্নস্তরের জান্নাতও বিভিন্ন নেয়ামতরাজিতে পূর্ণ থাকবে। সবথেকে নিচু স্তরের জান্নাত যিনি পাবেন, তা কেমন হবে— এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—

 মুসা  আ. নিজের প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘জান্নাতীদের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের জান্নাতি কে হবে?’ আল্লাহ তায়ালা উত্তর দিলেন, সে হবে এমন একটি লোক, যে সমস্ত জান্নাতিগণ জান্নাতে প্রবেশ করার পর (সবার শেষে) আসবে। তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।’ সে বলবে, ‘হে প্রভু! আমি কিভাবে (কোথায়) প্রবেশ করব? সবাই নিজ নিজ জায়গা দখল করেছে এবং নিজ নিজ অংশ নিয়ে ফেলেছে।’ 

তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি কি এতে সন্তুষ্ট যে, পৃথিবীর রাজাদের মধ্যে কোনো রাজার মতো তোমার রাজত্ব হবে?’ সে বলবে, ‘প্রভু! আমি এতেই সন্তুষ্ট।’ তারপর আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার জন্য তাই দেওয়া হলো। আর ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য।(অর্থাৎ ওর চার গুণ রাজত্ব দেওয়া হল)।’ 

সে পঞ্চমবারে বলবে, ‘হে আমার প্রভু! আমি (ওতেই) সন্তুষ্ট।’ তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার জন্য এটা এবং এর দশগুণ (রাজত্ব তোমাকে দেওয়া হলো)। এছাড়াও তোমার জন্য রইল সে সব বস্তু, যা তোমার অন্তর কামনা করবে এবং তোমার চক্ষু তৃপ্তি উপভোগ করবে।’ তখন সে বলবে, ‘আমি ওতেই সন্তুষ্ট, হে প্রভু!’ 

(মুসা আ.) বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আর সর্বোচ্চ স্তরের জান্নাতি কারা হবে?’ আল্লাহ তায়ালা বললেন, ‘তারা হবে সেই সব বান্দা, যাদেরকে আমি চাই। আমি স্বহস্তে যাদের জন্য সম্মান-বৃক্ষ রোপণ করেছি এবং তার উপর সীল-মোহর অংকিত করে দিয়েছি (যাতে তারা ব্যতিরেকে অন্য কেউ তা দেখতে না পায়) । সুতরাং কোনো চোখ তা দেখেনি, কোন কান তা শোনেনি এবং কোনো মানুষের মনে তা কল্পিতও হয়নি।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৯, তিরমিজি, হাদিস : ৩১৯৮)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *