ভারতীয় উপমহাদেশে অকল্পনীয় সামরিক সাফল্য এবং মুঘল শাসন শক্তিশালী করায় সম্রাট আকবরকে ‘গ্রেট আকবর’ হিসেবে ডাকা হয়। তবে ভারতের রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার বলেছেন, এখন থেকে তার রাজ্যের স্কুলে আকবরকে আর ‘গ্রেট’ আকবর হিসেবে পড়ানো হবে না।
ভারতীয় উপমহাদেশে অকল্পনীয় সামরিক সাফল্য এবং মুঘল শাসন শক্তিশালী করায় সম্রাট আকবরকে ‘গ্রেট আকবর’ হিসেবে ডাকা হয়। তবে ভারতের রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার বলেছেন, এখন থেকে তার রাজ্যের স্কুলে আকবরকে আর ‘গ্রেট’ আকবর হিসেবে পড়ানো হবে না।
মদন দাবি করেছেন , সম্রাট আকবর ভারতে লুণ্ঠনে জড়িত ছিলেন। এ কারণে ভবিষ্যতে সম্রাট আকবর এবং মুঘল শাসন নিয়ে কাউকে প্রশংসা করতে দেওয়া হবে না।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভামা শাহ সম্মান সমারোহ নামের একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, হিন্দু শাসক মহারানা প্রতাপ মেওয়ারের সম্মান এবং মর্যাদার জন্য তার সর্বস্ব দিয়েছেন। কিন্তু তাকে কখনো ‘গ্রেট’-এর মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
গত জানুয়ারিতে মুঘল সম্রাট আকবরকে ধর্ষক হিসেবে অভিহিত করেছিলেন রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী। ওই সময় স্কুলের পাঠ্যবই থেকেও আকবরের নামের পাশে থেকে গ্রেট শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। তার এমন মন্তব্যে বিভিন্ন জায়গায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে পুরোনো মুসলিম শাসকদের নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন বিস্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন ভারতীয় রাজনীতিবিদরা। তারা দাবি করে থাকেন, মুসলিম শাসকরা জোর করে হিন্দুদের উপর তাদের শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল এবং হাজার হাজার মানুষকে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করেছিল।
সূত্র: এনডিটিভি
এমটিআই