বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছে ভারত। যদিও তাদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া হয়নি। প্রথমবার নিউজিল্যান্ড এবং শেষ দফায় তাদের স্বপ্নভঙ্গ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই হতাশা ঝেড়ে এবারও স্পষ্ট ফেবারিট ছিল ভারত, যদিও ঘরের মাঠে কিউইদের কাছে সিরিজ হেরে তাদের ফাইনালের পথ কিছুটা দূরে সরে গেছে। এখন রোহিত-কোহলিরা রয়েছেন সমীকরণের মারপ্যাঁচে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছে ভারত। যদিও তাদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া হয়নি। প্রথমবার নিউজিল্যান্ড এবং শেষ দফায় তাদের স্বপ্নভঙ্গ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই হতাশা ঝেড়ে এবারও স্পষ্ট ফেবারিট ছিল ভারত, যদিও ঘরের মাঠে কিউইদের কাছে সিরিজ হেরে তাদের ফাইনালের পথ কিছুটা দূরে সরে গেছে। এখন রোহিত-কোহলিরা রয়েছেন সমীকরণের মারপ্যাঁচে।
সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু ও পুনেতে স্পিনবান্ধব উইকেটের ফাঁদ বানিয়েছিল ভারত। তবে তাতে তারা নিজেরাই পড়েছে। দ্বিতীয় টেস্টে কিউইদের বিপক্ষে ভারতকে জিততে হতো ৩৫৯ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে ইতিহাস গড়ে। তবে রোহিত শর্মার ভারত ১১৩ রানে হেরে ঘরের মাঠে সিরিজ খোয়াল এক যুগ পর। যা তাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা কঠিন করে তুলেছে।
যদিও এখনও চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছে ভারত। বর্তমানে তাদের পয়েন্ট ৬২.৮২ শতাংশ। মুম্বাইয়ে শেষ টেস্টেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ৬২.৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে ভারতকে টপকে যাবে। এরপর দুই দলের সিরিজ রয়েছে অজিদের মাটিতে। যেখানে কমপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জিততে হবে ভারতকে। সেক্ষেত্রে কিউইদের হারাতে হবে সিরিজের শেষ টেস্টে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে মুম্বাইয়ের ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচটি শুরু হবে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও হারলে আরও বিপদে পড়ে যাবে ভারত। পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে তো নামবেই, সঙ্গে শঙ্কা তৈরি হবে ফাইনাল নিয়েও। কারণ তখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কেবল সিরিজ জিতলেই হবে না, ৪-০ ব্যবধানে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শেষ করতে হবে। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে দুই দল মুখোমুখি হবে পাঁচ টেস্টের সিরিজে। সেই সমীকরণ না মেলাতে পারলে ভারতকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে ভারতের সমীকরণ
প্রথমত, অন্য কোনো দলের ওপর নির্ভর করতে না চাইলে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে জিততে হবে ভারতকে। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে কমপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারাতে হবে। সেক্ষেত্রে ভারতের পয়েন্ট পার্সেন্টেজ হবে ৬৪.০৪ শতাংশ (স্লো ওভার রেটের কারণে কোনো পয়েন্ট কাটা যাবে না ধরে নিয়ে)। তখন দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে যাবে ভারত।
দ্বিতীয়ত, ভারত যদি মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যায়, তখনও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম দুইয়ের মধ্যে শেষ করতে পারবে তারা। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় একটাও ম্যাচ হারা চলবে না। ৪-০ ব্যবধানে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিততে হবে। অপর ম্যাচটি ড্র করতে হবে ভারতকে। কোনো ম্যাচে হারলেই তাদের কাজটা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
সর্বশেষ, ভারতের যে পাঁচটি ম্যাচ বাকি, সেগুলোর মধ্যে চারটিতে না জিতেও ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে উঠতে পারবে। তবে সেজন্য অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে রোহিত-বুমরাহদের। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা পয়েন্ট খোয়ালে ভারত টানা তৃতীয়বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পারবে।
কোন দলের কত ম্যাচ বাকি
এএইচএস