রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণ রাজারবাগ গুদারাঘাট এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মো আলমগীর (২৬) নামে এক পাঠাও চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণ রাজারবাগ গুদারাঘাট এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মো আলমগীর (২৬) নামে এক পাঠাও চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেসমিন বাদী হয়ে মো. আলী, মো. অলিউল্লাহ, সাবিনা ও আকবর নামে চারজনের নাম উল্লেখ করে সবুজবাগ থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলের দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের স্ত্রীর জেসমিন বলেন, আমার স্বামী একজন পাঠাও চালক। ৯ মাসের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে সবুজবাগ থানার দক্ষিণ রাজারবাগ এলাকায় থাকি। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তার বন্ধু আলী তাকে মারপিট করে তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে আলীর বড় ভাই অলির কাছে বিচার দেয় আমার স্বামী। এরপর আলীর বড় ভাই অলি গতকাল সন্ধ্যার পরে তাকে গুদারহাট এলাকায় টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে আমার স্বামী আলমগীরকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে আলী অলিসহ আরো বেশ কয়েকজন আমার স্বামীকে মারপিট করে এবং বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, নিহত আলমগীর পাঠাও চালক ছিল। পাশাপাশি মাদক ও সেবন করত। এইসব বিষয় নিয়ে গত দুইদিন আগে আলমগীরের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ী আলী টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গতকাল অলি এবং আলীর সাথে আবারো কথা কাটাকাটি হয় নিহত আলমগীরের। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আলমগীরের বুকে ঢুকিয়ে দেয় তারা। পরে মুগদা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আলমগীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, আলী ও অলি দুইজনই ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেসমিন চারজনের নাম উল্লেখ করে সবুজবাগ থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত আসামিই ধরা পড়েনি বলে জানান তিনি।
এসএএ/পিএইচ