১. পর্যাপ্ত প্রোটিন না পাওয়া
সব সময় ক্ষুধার্ত বোধ করা বিরক্তিকর হতে পারে, বিশেষ করে খাওয়ার পরে। যদিও ক্ষুধা একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়া। যদি সব সময় ক্ষুধা পেতেই থাকে, তবে খাবারের সাধারণ প্রয়োজন ছাড়াও অন্যান্য কারণ থাকতে পারে। এটা মোকাবেলা করা আপনার পক্ষে সহজ হতে পারে যদি আপনি জানেন কেন এমনটা হচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সারাক্ষণ ক্ষুধা লাগার কিছু কারণ সম্পর্কে-
১. পর্যাপ্ত প্রোটিন না পাওয়া
পেট ভরা এবং পরিপূর্ণ বোধ করার জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। আপনার খাদ্যে অপর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়ার পরেও ক্ষুধার্ত রাখতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মুরগির মাংস, ডিম, মটরশুটি এবং দই ধীরে ধীরে হজম হয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট পূর্ণ রাখে। খেয়াল করে দেখবেন, এ ধরনের খাবার কম খাওয়া হলে তখনই আপনার বার বার ক্ষুধা লাগে। তাই খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখুন নিয়মিত।
২. ফাইবারের অভাব
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের জন্য ফাইবার অপরিহার্য। শাক-সবজি, ফলমূল, দানা শস্য ইত্যাদি ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। যা পেটে গিয়ে ধীরে ধীরে ভেঙে যায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে পারে এবং ক্ষুধা শুরু হতে বিলম্ব করতে পারে। কম ফাইবারযুক্ত খাদ্য দ্রুত খাবার ভেঙে দেয়, যা আপনাকে সব সময় ক্ষুধার্ত করে তোলে।
৩. খুব দ্রুত খেলে
শরীরের ক্ষুধার সংকেত খুব দ্রুত খাওয়ার ফলে বিভ্রান্ত হতে পারে। আমাদের মস্তিষ্ক পেট ভরার সংকেত পাঠাতে প্রায় বিশ মিনিট সময় নেয়। দ্রুত খাওয়ার ফলে আপনি এটা মিস করেন, যার ফলে অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে সঠিক সময়ে সংকেত বুঝতে সহায়তা করে। যে কারণে ধীরে-সুস্থে খেলে বার বার ক্ষুধা লাগে না।
৪. ডিহাইড্রেশন
অনেক সময় ক্ষুধার সঙ্গে তৃষ্ণা গুলিয়ে যায়। ডিহাইড্রেটেড হলে মস্তিষ্ক ক্ষুধার মতো সংকেত পাঠাতে পারে, যা আপনাকে খাবারের দিকে নিয়ে যায়, যখন আসলে আপনার পানি পান করা উচিত। সারাদিন হাইড্রেটেড থাকলে তা আপনার ক্ষুধার সংকেত নিয়ন্ত্রণ করে বার বার খাবার খাওয়া আকাঙ্ক্ষাকে কমিয়ে দিতে পারে।
৫. ভালো ঘুম না হওয়া
ক্ষুধার হরমোন বিশেষ করে ঘেরলিন এবং লেপটিন ঘুমের অভাবের কারণে ব্যাহত হতে পারে। লেপটিন পূর্ণতা নির্দেশ করে, যেখানে ঘেরলিন ক্ষুধা বাড়ায়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর অতিরিক্ত ঘেরলিন এবং অপর্যাপ্ত লেপটিন তৈরি করে, যার ফলে আপনি যথেষ্ট খাওয়ার পরেও ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। সঠিক ঘুম এই হরমোনগুলো র ভারসাম্য বজায় রাখে, যার ফলে অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমে যায়।
এইচএন