সদরঘাটে হকার্স দলের দুপক্ষের মারামারি, আটক পাঁচ 

সদরঘাটে হকার্স দলের দুপক্ষের মারামারি, আটক পাঁচ 

রাজধানীর পুরান ঢাকায় সদরঘাট এলাকায় ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে হকার্স দলের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। 

রাজধানীর পুরান ঢাকায় সদরঘাট এলাকায় ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে হকার্স দলের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

এতে মো রাজু (৩২), পলাশ (৩২) রিয়াজ (৩০), কাজল, রতন শামিমসহ ১৫ থেকে বিশ জন আহত হন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ফুটপাতে দোকান দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত স্থানীয় হকার্স দলের নেতা দেলোয়ার ও আনিছুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। এ হামলায় দেলোয়ারের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা পরিচয় দেওয়া কিরণ, যুবদল পরিচয়ে সজল, আক্তারসহ ৮০ জনের অধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

হামলায় আহত আনিছুর রহমান বলেন, কিছুদিন যাবত দেলোয়ারের নেতৃত্বে একদল আমাদের উপর হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে। তারা আমাদের দোকান উঠিয়ে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নতুন দোকান বসানোর চেষ্টা করে। আমি বাঁধা দিলে আমার উপর হঠাৎ হামলা করে। পরে আমার পাশে থাকা হকাররা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করে দেলোয়ার গ্রুপ।

বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক  হযরত আলী বলেন, এই আনিছুর রহমান আগে আমাদের সঙ্গে হকার্স ইউনিয়ন করতো। পরে গত কিছুদিন আগে হকার্স দল নামে একটি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চাঁদাবাজি ও দখলদারির সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত করেছে। আবার ওদিকে দেলোয়ারও এই দখলদারত্বি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে নিয়োজিত। গত কয়েকদিন যাবত এদের মধ্যে বিরোধ চলছে। আনিস হকার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিলো। তবে সেখানে চাঁদাবাজি করতে না পারায় হকার্স দলে যুক্ত হয়েছেন। তাদের নিজের আধিপত্যের বলি হয়েছে আমাদের কয়েকজন হকার। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

কোতোয়ালি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হল বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা আনিসসহ পাঁচ জনকে আটক করেছি। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে পুরো সদরঘাট এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। 

এমএল/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *