ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্টিকারযুক্ত গাড়ি চালিয়ে বাইসাইকেল চালককে চাপা দিয়ে জনতার হাতে আটক হন ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। এছাড়া তিনি কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ সাংবাদিককে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্টিকারযুক্ত গাড়ি চালিয়ে বাইসাইকেল চালককে চাপা দিয়ে জনতার হাতে আটক হন ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। এছাড়া তিনি কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ সাংবাদিককে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইন্স গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর রাজবাড়ী জেলার পাংশার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
গাড়িচাপায় আহত দিনমজুর ইমদাদুল কবির রাজবাড়ী সদর উপজেলার রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলায় আহত সাংবাদিক কাজী তানভীর মাহমুদ ঢাকা মেইলের রাজবাড়ী প্রতিনিধি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৩ আগস্ট দিবাগত রাত ১০টার দিকে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইন্সের গেটের সামনের সড়কে বাইসাইকেল আরোহী ইমদাদুল কবিরকে গাড়ি দিয়ে চাপা দেন ঢাবি অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। এ সময় পুলিশ লাইন্সের ভেতর থেকে দুই পুলিশ সদস্য দৌড়ে এলে তাদের ওপর চড়াও হন ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। খবর পেয়ে ঢাকা মেইলের রাজবাড়ী প্রতিনিধি কাজী তানভীর সেখানে গিয়ে দুর্ঘটনার ভিডিও করতে গেলে তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে মোবাইল কেড়ে নেন ড. রাশেদ আল মাহমুদ।
এ সময় গাড়িতে থাকা তার বাবা আরশেদ আলী সাংবাদিকসহ উপস্থিত জনতাকে নানাভাবে বকাবাজি করতে থাকেন এবং ক্ষমতার দাপট দেখান। পুলিশকে ধমক দিয়ে তারা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক। এছাড়া আমাদের পরিচয় বলব না। আপনারা যা পারেন করেন।
পরে সদর থানা পুলিশ গিয়ে গাড়িটি জব্দ করে তাদের থানায় নিয়ে যায়। আর স্থানীয়রা আহত বাইসাইকেল চালককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, থানায় আসার পর উভয়পক্ষের সিদ্ধান্তে শিক্ষক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর আহত বাইসাইকেল চালকের চিকিৎসা খরচ বহন করেছেন।
সাংবাদিক কাজী তানভীর মাহমুদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরকে