৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় শর্ট সিলেবাসের দাবি যৌক্তিক বলে মন্তব্য করে শিক্ষার্থীরা। তারা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানায়। এছাড়া, শিক্ষকদের হাতে ৩০ শতাংশ মার্ক না রাখার পক্ষে দাবি জানানো হয়। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে এক দফা অটোপাশের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম বলে, আমরা অর্ধবাষিক পরীক্ষা গ্রুপ ভিত্তিক দিয়েছি। এখন এই পরীক্ষার সিলেবাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা একজনের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ে পড়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা চাই সিলেবাস শর্ট করতে এবং শিক্ষকের হাতের মার্ক কমাতে। শিক্ষকের হাতে মার্ক থাকলে আমরা পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারব না। সিলেবাস না কমালে আমাদের এক দফা থাকবে, সেটা হলো অটোপাশ।
এই শিক্ষার্থী আরও বলে, এ বছরে এক কারিকুলামে আমরা অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছি। এখন মধ্যখানে এসে আবার কারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে আবার আরেক কারিকুলাম করা হবে। আমাদের নিয়ে তারা খেলবে নাকি… আমরা কিছু বলব না?
তাবিয়া বেগম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, আমাদের বর্তমান সিলেবাস বেশ বড়। আমরা অল্প সময়ের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চাই। আমরা বলছি না যে অটোপাশ দিয়ে দিতে। নতুন এই কারিকুলামে বৃহৎ সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়া একেবারে অসম্ভব। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদ বলেন, নতুন কারিকুলামে এটি একটি বৃহৎ সিলেবাস। আমরা এজন্য মাঠে নেমেছি। আমাদের যৌক্তিক একটি শর্ট সিলেবাস দিতে হবে।
নাবিদ হাসান নামের আরেকজন শিক্ষার্থী বলে, আমরা গত আট মাস অন্য একটি সিলেবাসে পড়েছি। সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আরেকটি সিলেবাস দেওয়া হলো। আগের সিলেবাস শেষ করতে পারিনি। এখন আবার নতুন সিলেবাস, নতুন কারিকুলাম। সিলেবাসটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা ছয় মাস পড়ালেখা করে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের হাতে আছে মাত্র দুই মাস। যৌক্তিক সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টির দাবি না মানা হলে আমরা কেউ পরীক্ষায় বসব না।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিল মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদ, নাবিদ হাসান, রাহাত আহমদ, নাবিল আহসান, মুগ্ধ জামান, মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম ও তাবিয়া আক্তারসহ আরও কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
আশরাফ আলী/কেএ