শ্রমিকের মজুরি পুনর্নির্ধারণের দাবি

শ্রমিকের মজুরি পুনর্নির্ধারণের দাবি

কারখানা বন্ধ ঘোষণা না করে শ্রম অসন্তোষ নিরসনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা, রেশন ব্যবস্থা চালু এবং মজুরি পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। একইসঙ্গে সংগঠনটি আশুলিয়া ও গাজিপুর শিল্পাঞ্চলে গার্মেন্টস কারখানায় চলমান শ্রমিক অসন্তোষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের পরিবর্তে আগের মতো কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে, আতঙ্ক তৈরি করে, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রচার করে শ্রমিকদের দাবি আড়াল করার গার্মেন্টস মালিকদের অপকৌশলের নিন্দা জানিয়েছে।

কারখানা বন্ধ ঘোষণা না করে শ্রম অসন্তোষ নিরসনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা, রেশন ব্যবস্থা চালু এবং মজুরি পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। একইসঙ্গে সংগঠনটি আশুলিয়া ও গাজিপুর শিল্পাঞ্চলে গার্মেন্টস কারখানায় চলমান শ্রমিক অসন্তোষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের পরিবর্তে আগের মতো কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে, আতঙ্ক তৈরি করে, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রচার করে শ্রমিকদের দাবি আড়াল করার গার্মেন্টস মালিকদের অপকৌশলের নিন্দা জানিয়েছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের অনেক কারখানা মালিক বিগত স্বৈরাচারী শাসকদের সঙ্গে জোট সঙ্গী হয়ে নানাভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি আর প্রতারণার মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে বা শ্রমিকের সম্পূর্ণ পাওনা আত্মসাৎ করে মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নীতিতে পরিচালিত করে আসছিল। জুলাই আন্দোলনের পরেও গার্মেন্টস মালিকদের একটি অংশ দমননীতি অনুসরণ করেই কারখানা পরিচালনা অব্যাহত রাখতে চায়। কারখানা মালিকদের মধ্যকার এই দুষ্টচক্র তাদের চাওয়া পূরণের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারকে বাধ্য করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে শ্রমিকদের রাস্তায় রাখতে চায় যাতে শিল্পঘন এলাকার অন্যান্য কারখানাগুলো যেন চালু রাখতে না পারে। প্রকৃত শিল্প মালিক থেকে এই সব সুযোগ সন্ধানী কারখানা মালিকদের চিহ্নিত করতে হবে। কারখানা বন্ধের ঘোষণার পরিবর্তে শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের উত্থাপিত দাবির সুরাহা করতে বাধ্য করতে হবে। শ্রমিকদের অভাবের তীব্রতা কমাতে দ্রুততম সময়ে নিত্যপণ্যের রেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়ে শুধু শক্তি প্রয়োগ করে বা কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে শ্রমিক আন্দোলন দমন করার পুরোনো রীতির পুনরাবৃত্তি ঘটালে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। তাছাড়া জাতীয় শ্রমিক আন্দোলনের কার্যকর শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরিবর্তে জাতীয় শ্রমিক আন্দোলনের মূল ধারা বিচ্ছিন্ন শ্রমিক প্রতিনিধিদের যুক্ত করে শ্রম অসন্তোষ নিরসনের দায়িত্ব প্রদান শ্রম পরিবেশ উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।

দাবি জানিয়ে বলা হয়, সরকারকে তার সংস্থাগুলোকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে এবং সংগৃহীত তথ্যগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে অসন্তোষের প্রকৃত কারণগুলো আলাদাভাবে চিহ্নিত করে সমাধানের সঠিক কৌশল নির্ধারণ করার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের ট্রেড ইউনিয়নের কার্যকর শক্তিগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে সংলাপভিত্তিক শিল্প সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন বিকাশে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এছাড়া সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ বা অন্যকোনো ধরনের উসকানি থেকে সাবধান থাকা এবং ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সঠিক শক্তির নিচে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এমএইচএন/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *