টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের পাঁচ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলায় মাধ্যমিক, মাদরাসা, কারিগরি, কলেজসহ ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের পাঁচ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলায় মাধ্যমিক, মাদরাসা, কারিগরি, কলেজসহ ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
গত ৩ অক্টোবর রাত থেকে টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ৪ অক্টোবর শেরপুরে বন্যা সৃষ্টি হয়। এতে বেশ কয়েকটি নদীর পাড় ভেঙে গেছে , প্লাবিত হয়েছে দুই শতাধিক গ্রাম। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত পানিবন্দি হয়েছেন প্রায় দের লক্ষ মানুষ।
এদিকে রোববার (০৬ অক্টোবর) ঝিনাইগাতী উপজেলায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও নালিতাবাড়ী উপজেলার অবস্থা একই রকম আছে।
উজানে পানি ভাটি এলাকায় প্রবাহিত হওয়ার জন্য নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কলেজ, মাদরাসা বন্ধ আছে।
পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শেরপুরে বাইরে থেকে আসা অনেক সংগঠন কাজ করছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় খোলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে পানিবন্দিদের রাখা হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর পানিবৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, শেরপুরে বন্ধ থাকা ৮৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নালিতাবাড়ীতেই আছে ৬০টি।
শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেজওয়ান বলেন, বন্যার জন্য আমাদের শেরপুর জেলায় প্রায় ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। আমরা প্রতিনিয়ত সেগুলোর তথ্য রাখছি। পানি কমে গেলে সেগুলো খুলে দেওয়া হবে।
মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এফআরএস