সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যান। এরপরই প্রশ্ন ওঠে— তিনি কি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন নাকি পদত্যাগ না করেই দেশ ত্যাগ করেছেন। যদিও এখন পর্যন্ত পদত্যাগপত্রের কোনো ছবি অফিসিয়ালি প্রকাশ্যে আসেনি। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যান। এরপরই প্রশ্ন ওঠে— তিনি কি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন নাকি পদত্যাগ না করেই দেশ ত্যাগ করেছেন। যদিও এখন পর্যন্ত পদত্যাগপত্রের কোনো ছবি অফিসিয়ালি প্রকাশ্যে আসেনি। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত একটি পদত্যাগপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এটি ভুয়া বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়। পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সেই পোস্ট ঢাকা পোস্ট পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
দেশের টিভি চ্যানেলের ফেসবুকে এরকম অপরিপক্ব এডিটেড কোনো পদত্যাগপত্র প্রকাশ, একটি দৈন্যতা মাত্র।
কেন এই পদত্যাগপত্র ভুয়া?
১. তারা ভুলে এখনও মুজিববর্ষ লোগো লাগিয়ে রেখেছে, যেই মুজিববর্ষ ২০২১ সালে শেষ!
২. লক্ষ্য করুন ভুয়া এই পদত্যাগপত্রটি অত্যন্ত অস্পষ্ট।
৩. পদত্যাগপত্রের ভাষা দেখুন, যা মন চায় তারা একটা কিছু লিখে পাবলিশ করে দিলো।
৪. শেখ হাসিনার স্বাক্ষরটিও গুগল থেকে নিয়েছে, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মূল পেজের সঙ্গে স্বাক্ষরের অংশের পিক্সেলের পার্থক্য।
৫. ৫ আগস্ট ছিল ২১ শ্রাবণ, পদত্যাগপত্রে দেওয়া ২০ শ্রাবণ!
দেশের মিডিয়াকে এরকম নগ্নভাবে ব্যবহার করে নিজেদের হাসির পাত্র বানাবেন না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার যে আনুষ্ঠানিকতা সেই সময় নেননি, তিনি সোজা তেজগাঁও থেকে বিমানে করে ভারতে গেছেন। এসব বাদ দিয়ে বরং দেশের সমস্যা সমাধান করুন।
যদি শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র দিয়েই থাকেন গুজব বা ফেক কিছু না পাবলিশ করে, সত্য কিছু পাবলিশ করুন। ইন্টারনেটের এই যুগে মানুষ সব বুঝে, ভুয়া কিছু মুহূর্তে যেমন ছড়ায়, সত্যও খুব দ্রুত বের হয়ে আসে।
এমএসআই/এমজে