শিশু আহনাফ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে তার মায়ের অভিযোগ

শিশু আহনাফ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে তার মায়ের অভিযোগ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর আহনাফের মা জারতাজ পারভীন এ অভিযোগ দায়ের করেন। আবেদনে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। পরে আহনাফের মা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা খুঁজে বের করবে কারা কারা হত্যার সঙ্গে জড়িত।

গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হয় আহনাফ। আহনাফের যেদিন মৃত্যু হয়, তার পরদিন বাংলাদেশে এক অভিনব গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। কিন্তু অভ্যুত্থানের সফল সমাপ্তি দেখা হয়ে ওঠেনি বুলেটবিদ্ধ আহনাফের। বিজয়ে উদিত সূর্যের কয়েক ঘণ্টা আগে জীবন বাতি নিভে যায় তার।

জুলাইয়ে জোয়ার ওঠা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন একপর্যায়ে পরিণত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। শত শত প্রাণের বিনিময়ে আন্দোলন বিজয়ের বরমাল্য নিয়ে আসে। এবার তবে দেশ গড়ার পালা। ক্লাসরুমে ফেরার পালা। ১৮ আগস্ট থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সরকার। ক্লাসরুমে পরীক্ষার টেবিলে বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থীরা ফিরলেও ফেরেনি আহনাফ। যে টেবিলটাতে সে বসতো, সেই টেবিলে কেউ বসেনি। সিট ছিল ফাঁকা। এতো শিক্ষার্থীর মাঝে কোথায় যেন এক বিরান শূন্যতা! আহনাফের স্মরণে তার সিটটাতে ফুল রেখে দেয় বন্ধুরা। ‘তারে স্মরণ করে সবাই সাজায় ফুলের ডালা’।

এমএইচডি/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *