চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মী হায়াত উল্লাহকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। হায়াত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) কর্মী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মী হায়াত উল্লাহকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। হায়াত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) কর্মী।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী হায়াত ও তার বন্ধু সাইদুর রহমান জুবায়ের এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট থেকে অজ্ঞাতনামা তিনজন হায়াত উল্লাহকে শহীদ আবদুর রব হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। এসময় আরও ১০ থেকে ১২ জন তাকে ওই কক্ষে আবদ্ধ করে নির্যাতন করে। এতে ভুক্তভোগীর বাম হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক রব হলে যাই। সেখানে গেস্টরুমে আমরা হায়াতকে পাই। পরে চবি মেডিকেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আমরা চমেক হাসপাতালে গিয়ে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি থাকার মতো গুরুতর সমস্যা না থাকায় তাকে বন্ধুদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়টি রোববার হল কর্তৃপক্ষকে অফিসিয়ালি জানানো হবে। তারপর খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের ভিএক্স উপগ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন হায়াত উল্লাহ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ‘মীরজাফর’ উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আতিকুর রহমান/এসকেডি