শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে রাফসান, বিস্ফোরক জবাব সালমানের!

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে রাফসান, বিস্ফোরক জবাব সালমানের!

দেশে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় রাজধানীসহ সারা দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিতে রাস্তায় নেমেছেন দেশের বহুসংখ্যক তারকা, শিল্পী, ইনফ্লুয়েন্সার, ইউটিউবারসহ প্রায় নানা পেশার সর্বস্তরের মানুষ। আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

দেশে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় রাজধানীসহ সারা দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিতে রাস্তায় নেমেছেন দেশের বহুসংখ্যক তারকা, শিল্পী, ইনফ্লুয়েন্সার, ইউটিউবারসহ প্রায় নানা পেশার সর্বস্তরের মানুষ। আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় যোগ দেন বর্তমান সময়ের আলোচিত ইউটিউবার ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’ খ্যাত ইফতেখার রাফসান। এক পর্যায়ে রাফসানের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা তাকে আপত্তি জানান। এতে তোপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়তে হয় এই ইউটিউবারকে।

এ ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেন অভিনেতা ও ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির। রাফসানের পাশে দাঁড়িয়ে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘একটা যুদ্ধ জেতার আগেই যদি সবার প্রাইড, এগো আর এগ্রোগেন্স দিয়ে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাই, তাইলে জেতার পর তো নিজের ভাইয়ের মাংসও খেয়ে ফেলব আমরা। রাফসানকে যদি সুন্দর করে বলা যেত, যে কত আশা ওর ওপর মানুষের, রাফসান কী অনুপ্রাণিত হয়ে আরও হেল্প করত না?’ 

এ সময় অভিনেতা ফেরদৌস, রিয়াজ এর সমালোচনা করে সালমান লেখেন, ‘দেশকে পুরো বেচে দিয়ে নায়ক ফেরদৌস, রিয়াজের মত টোকাইগুলো ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সবার সামনে ভাষণ দিচ্ছে, কেউ কিছু করতে পারল না?’ 

সমালোচনায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দিকে আঙুল তুলে সালমান বলেন, ‘সাকিব ওর বউকে নিয়ে সবার সামনে এগো দেখায় চ্যালেঞ্জ করতেসে, কিছু করতে পারি নাই। রাফসান দেরি করে হইলেও ফাইনালি সামনে আসছে। ওকে দেখে কয়েক লাখ মানুষ সাহস পাইত আরও।’

সালমান আরও বলেন, ‘এরকম করেই যদি আমরা আমাদের একতা প্রকাশ করি, তাহলে এক হওয়ার আহ্বান কাকে জানাচ্ছি? কাকে জড়ো হইতে বলতেছি? কাকে আওয়াজ তুলতে বলতেছি?’

প্রসঙ্গত, ইফতেখার রাফসান তার নিজ গাড়িতে করে টিএসসি এলে বিক্ষোভকারী ছাত্ররা তাকে ঘিরে ধরে। এর পর তাকে দেখে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরে বাধ্য হয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে স্থান ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় আন্দোলনকারীরা তার গাড়ির দিকে তেড়ে গেলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সহায়তায় রাফসান স্থান ত্যাগ করেন।

এ সময় আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সে এতদিন পর অ্যাটেনশন নিতে এসেছে। আমরা তার কাছে কৈফিয়ত চেয়েছি এতদিন পর কি করতে এসেছেন?’

ডিএ

 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *