শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ববি উপাচার্য ড. বদরুজ্জামান  

শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ববি উপাচার্য ড. বদরুজ্জামান  

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও আন্দোলনের সময় তার কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও আন্দোলনের সময় তার কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। 

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীদের দাবি উপস্থাপন ও আলোচনা সভায় উপাচার্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্ষমা প্রার্থনা করে উপাচার্য বলেন, বক্তব্যের শুরুতে আমার শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তোমরা আমার পরিবার। আর পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়াটা লজ্জানক নয় বরং আন্তরিকতার পরিচয়। উপাচার্য বলেন, আমাদের অনেক ভুল আমরা সেই ভুলগুলো শুধরে নেব। তিনি শিক্ষকদেরকেও শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আন্তরিক হওয়ার কথা বলেন।  উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বলেন, যে ২২ দফা দাবি তোমাদের পক্ষ থেকে আমার কাছে আসছে সেগুলোর কিছু কিছু ইতোমধ্যই পূরণ করেছি। বাকিগুলো দ্রুত পূরণের চেষ্টা করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলমান বলে জানান তিনি। 

উপাচার্য বলেন, অতিদ্রুত ছাত্রসংসদের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আমরা প্রত্যেকটা ঘটনাবলির সঠিক বিচার করব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আবদুল কাইউম বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় আমাদের সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমি সকল প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছি। তারপরও শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলার মতো ঘটনা ঘটে যা আমার জানা ছিল না। সার্বিক বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। 

আলোচনাসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আলোচনাসভায় আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিপীড়নবিরোধী বিবৃতি দেওয়া ৩৫ শিক্ষকের ৩৪ জনই ছিলেন অনুপস্থিত ছিলেন। নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক উন্মেষ রয় বলেন, আমাদেরকে আজকের আলোচনার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়নি তাই কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

এই ব্যাপারে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়াকে একাধিকবার কল কর হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আলোচনায় শিক্ষার্থীদের মধ্য বক্তব্য রাখেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সুজয় বিশ্বাস শুভ, রাকিব হোসেন, শাহেদসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে দাবিগুলো অতিদ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *