শয়তান মানুষকে ধোঁকা ও ওয়াসওসা দেয় সব সময়। আল্লাহর দরবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর সে এই প্রতিজ্ঞাই করেছিল যে মানুষকে সব সময় ধোঁকা দেবে এবং সত্য-সঠিক পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে।
শয়তান মানুষকে ধোঁকা ও ওয়াসওসা দেয় সব সময়। আল্লাহর দরবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর সে এই প্রতিজ্ঞাই করেছিল যে মানুষকে সব সময় ধোঁকা দেবে এবং সত্য-সঠিক পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে।
তবে শয়তান মানুষকে যত ধোঁকা বা সত্য থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওয়াসওসা দিক না কেন আল্লাহ তায়ালা মানুষ সেই বিপদ থেকে উদ্ধারের বিভিন্ন পদ্ধতি বলে দিয়েছেন।
এমনকি হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে বিভিন্ন দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন, যার মাধ্যমে বান্দা সহজেই আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করতে পারবে এবং শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকাতে পারবে। এমন একটি দোয়া হলো—
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكَ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر
উচ্চারণ : ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদির।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
এই দোয়ার ফজিলত সম্পর্কে এক হাদিসে আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি এক শবার এ দোয়াটি পড়বে, সে ১০টি গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব পাবে। তার জন্য এক শ সওয়াব লেখা হবে এবং আর এক শ গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে।
ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে। কোনো লোক তার চেয়ে উত্তম সওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ওই ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে বেশি ওই দোয়া পড়বে। (বুখারি, হাদিস : ৩২৯৩)