চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ডিউটিরত নার্সিং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন ও মারমুখী আচরণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে পুরো হাসপাতালজুড়ে ডিউটি থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রতিটা ওয়ার্ডের রোগী ও সরকারি স্টাফরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ডিউটিরত নার্সিং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন ও মারমুখী আচরণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে পুরো হাসপাতালজুড়ে ডিউটি থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রতিটা ওয়ার্ডের রোগী ও সরকারি স্টাফরা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসানের আশ্বাস পেয়ে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও ডিউটিতে ফিরবেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর ফরিদা ইয়াসমিন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে আলোচনা করে নার্সিং শিক্ষার্থীসহ সকলের নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতালে পুলিশ বক্স, আনসার সদস্য নিয়োগ করা হবে বলে একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এই আশ্বাস পেয়ে নার্সিং শিক্ষার্থীরা শনিবার থেকে আবারও ডিউটিতে ফিরবেন। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শনিবার থেকে ফিরবেন তারা।
এর আগে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তিরত নারীর স্বামী ও স্বজনরা নার্সিং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন ও মারমুখী আচরণ করেন। এরপরই নার্সিং শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ডিউটিরত অবস্থায় নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না হবে ততক্ষণ তারা ডিউটিতে যাবেন না।
এদিকে, সদর হাসপাতালের ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, পুরুষ-নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে ডিউটি করছেন একজন সিনিয়র নার্স। নার্সিং শিক্ষার্থীরা না থাকায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। এতে রোগীরা ঠিকমতো সেবা পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়ার্ডের কয়েকজন সিনিয়র স্টাফ নার্সরা বলেন, নার্সিং শিক্ষার্থীরা না থাকায় একজন নার্স দিয়ে ওয়ার্ডে সেবা দিতে চরম কষ্টকর হয়ে হচ্ছে। দুই মেডিসিন ওয়ার্ডে দিনে ১৫০-২০০ রোগী ভর্তি হন। এতে একজন নার্সের দ্বারা চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।
তারা আরও বলেন, শুধু নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই না। প্রতিনিয়তই আমাদের সঙ্গে রোগীর স্বজনরা খারাপ আচরণ করেন। এর কোনো প্রতিকার নেই। আমরা নিরাপত্তাহীনভাবে ডিউটি করছি। দ্রুত এর প্রতিকার চান বলেও জানান তারা।
আফজালুল হক/এএমকে