ইসরায়েলকে বিশ্ব মানবতা ও ইসলামের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, হান্টিংটনের সভ্যতার যুদ্ধ তত্ত্বের মাধ্যমে ইসলামকে পশ্চিমা শক্তির মুখোমুখি করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অবান্তর এবং মুসলিম বিদ্বেষ চিন্তার অংশ।
ইসরায়েলকে বিশ্ব মানবতা ও ইসলামের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, হান্টিংটনের সভ্যতার যুদ্ধ তত্ত্বের মাধ্যমে ইসলামকে পশ্চিমা শক্তির মুখোমুখি করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অবান্তর এবং মুসলিম বিদ্বেষ চিন্তার অংশ।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা, পশ্চিম তীর এবং লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েল যে বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা মানবতাবিরোধী জঘন্য যুদ্ধাপরাধ। ইসরায়েল ও জায়নবাদ হলো মানবতা এবং ইসলামের শত্রু।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এনডিএম কর্তৃক আয়োজিত প্যালেস্টাইন এবং লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে ববি হাজ্জাজ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জায়নবাদ আর বিজেপির হিন্দুত্ববাদ একসূত্রে গাঁথা। ভারতের সঙ্গে আমাদের বিশাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের চারপাশে ভারত। প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে আমরা সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক চাইলেও বিজেপির হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা থাকলে সেটা সম্ভব হবে না।
ববি হাজ্জাজ বলেন, অন্তবর্তী সরকারকে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলোচনা করতে হবে যা তাদের প্রথম দফা সংলাপে সম্ভব হয়নি৷ মাত্র ২১ জনের উপদেষ্টা পরিষদ দেশের একটি কার্যকর সরকার ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। আমাদের দায়িত্ব হলো বর্তমান সরকারকে সফল করে তোলা। পরাজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশে যে অরাজকতা শুরু করেছে এই সরকারকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তার মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, লেবাননে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বা দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলি আকন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তফাজ্জল হোসেন মিয়াজিসহ এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, যুব আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ওএফএ/এমএ