রৌমারীতে বিজিবি ও ছাত্র-জনতা মিলে সাঁকো নির্মাণ

রৌমারীতে বিজিবি ও ছাত্র-জনতা মিলে সাঁকো নির্মাণ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিজিবি, ছাত্র-জনতার উদ্যোগে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর ওপর প্রায় ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থ সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছে। টানা পাঁচ দিন নির্মাণকাজ শেষ করে বুধবার সাধারণ মানুষের জন্য বিজিবি, ছাত্র-জনতা মিলে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে করে এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিজিবি, ছাত্র-জনতার উদ্যোগে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর ওপর প্রায় ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থ সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছে। টানা পাঁচ দিন নির্মাণকাজ শেষ করে বুধবার সাধারণ মানুষের জন্য বিজিবি, ছাত্র-জনতা মিলে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে করে এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষ হাট-বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্য আনা-নেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ নৌকা দিয়ে পারাপার করত। চরম দুর্ভোগে ছিল এলাকার সাধারণ মানুষ। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়েছেন। দীর্ঘদিন আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটা সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তুু বন্যার পানিতে সেটা নষ্ট হয়। এরপর থেকে স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে গয়টা পাড়া গ্রামে জিঞ্জিরাম নদীতে নৌকা দিয়ে চরম দুর্ভোগে পারাপার হয়। দুই পাড়ের ৮টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এদিক দিয়ে চলাচল করে। দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত এই জনপদের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেনি। এলাকাবাসী স্থায়ীভাবে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

যাতায়াতে জনদুর্ভোগ কমাতে জামালপুর ব্যাটা‌লিয়ন-৩৫ বি‌জি‌বির অধীনে গয়টাপাড়া বি‌জি‌বি ক্যাম্পের সদস্যগণ এবং ছাত্র-জনতা মিলে ওই নদী‌র ওপর এক‌টি বাশের সাঁকো নির্মাণ করে। এলাকার ছাত্র-জনতা ও ‌বি‌জি‌বির সা‌র্বিক সহ‌যো‌গিতায় ক্ষুদ্র যানবাহন এবং এলাকাবা‌সীর চলাচ‌লের জন্য বাঁশের সাকোটি তৈরি করা হয়।

স্থানীয় শিক্ষার্থী পারভেজ মোশারফ বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিজিবি ও ছাত্র-জনতার সার্বিক সহযোগিতায় সাঁকো নির্মাণ করা হলো। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। অটোচালক মায়নুল বলেন, আগে নৌকা দিয়ে পারাপারে কষ্ট হতো। বর্তমানে সাঁকো নির্মাণ করায় অটোসহ যাত্রী পারাপারের সুবিধা হয়েছে।

গয়টাপাড়া বি‌জি‌বি ক্যা‌ম্পের না‌য়েব সু‌বেদার এবি সি‌দ্দিক বলেন, জনসেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে দুর্ভোগ লাঘবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মনছুরুল হক বলেন, আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণের জন্য  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, এলাকাবাসী আবেদন দিলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

জুয়েল রানা/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *