রাসূল সা. যেভাবে রোগীর সেবা করতেন

রাসূল সা. যেভাবে রোগীর সেবা করতেন

সাহাবিদের কেউ অসুস্থ হলে রাসূল সা. সেবা-শুশ্রুষার জন্য তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হতেন। তিনি রোগীর কাছে গিয়ে তাঁর শিয়রের কাছে বসতেন। রোগীর অবস্থা জিজ্ঞেস করতেন। তিনি রোগীকে জিজ্ঞেস করতেন তোমার কি প্রয়োজন? তোমার কিছু খেতে ইচ্ছা করছে কি না? রোগী কিছু খেতে চাইলে তিনি তার জন্য সে খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তিনি রোগীর শরীরে ডান হাত রাখতেন এবং দোয়া পড়তেন।

সাহাবিদের কেউ অসুস্থ হলে রাসূল সা. সেবা-শুশ্রুষার জন্য তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হতেন। তিনি রোগীর কাছে গিয়ে তাঁর শিয়রের কাছে বসতেন। রোগীর অবস্থা জিজ্ঞেস করতেন। তিনি রোগীকে জিজ্ঞেস করতেন তোমার কি প্রয়োজন? তোমার কিছু খেতে ইচ্ছা করছে কি না? রোগী কিছু খেতে চাইলে তিনি তার জন্য সে খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তিনি রোগীর শরীরে ডান হাত রাখতেন এবং দোয়া পড়তেন।

হজরত সাদ রা. এর জন্য দোয়া করে তিনি বলেছেন, হে আল্লাহ! তুমি সাদকে রোগ মুক্ত করো। হে আল্লাহ! তুমি সাদকে রোগমুক্ত করো। 

রোগীকে অভয় দিয়ে তিনি বলতেন, কোনো ভাবনা নেই। ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। কখনো তিনি বলতেন, এ অসুখ পাপের কাফফারা হয়ে যাবে, পাপ থেকে পবিত্র করে দেবে। 

রোগীর সেবার প্রতি তিনি উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। এক হাদিসে তিনি বলেন,  যখন কেউ তাঁর মুসলিম ভাইয়ের রোগে সেবা শুশ্রুষা করে তখন সে যেন জান্নাতের বাগিচায় চলাফেরা করে। তারপর যখন সে বসে তখন আল্লাহর রহমত তাকে আচ্ছাদিত করে। যদি সকালে সেবা করে তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দোয়া করে। আর যদি রাতে সেবা করে তাহলে ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য সকাল পর্যন্ত রহমতের দোয়া করতে থাকে। (মুসনাদে আহমাদ)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোগী দেখে সাতবার এই দোয়া পাঠ করতেন—

উচ্চারণ : ‘আসআলুল্লাহাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিম, আঁই ইয়াশফায়াকা।

অর্থ : আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যিনি মহা আরশের প্রতিপালক; তিনি যেন তোমাকে সুস্থ করে দেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০৮৩)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *